শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে হইহই রব। সেই আবহেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মেদিনীপুরে অভিনব কায়দার প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত করল বিজেপির যুব মোর্চা।
প্রতিবাদ মিছিল দেখে ঠিক যেন মনে হয় কোনও পথনাটক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। মঙ্গলবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলে রাস্তায় নামেন বিজেপির যুই মোর্চার কর্মীরা। এদিন দুপুরবেলায় হঠাৎ কালেক্টরেট অফিসের সামনে থমকে যান পথচারীরা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে চলেছে সিবিআই! এটা কীভাবে সম্ভব?
আসলে পুরোটাই সাজানো পথনাটকের মতো মঞ্চস্থ হয়। এক মোটাসোটা পাঞ্জাবি পরা যুবমোর্চার কর্মীর মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতোই মুখোশ পরানো। তাকেই কোমরে দড়ি পরিয়ে নিয়ে চলেছেন সিবিআইয়ের জ্যাকেট পরা আরেক কর্মী। মিছিলের সম্মুখভাগে এই দৃশ্য দেখে সাধারণ জনতা এমনকি ডিউটিরত পুলিশ কর্মচারীরাও থ’ বনে যান।
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির প্রতিবাদে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির মেদিনীপুর জেলা সহ- সভাপতি অরূপ দাস, যুব মোর্চার জেলা সভাপতি আশীর্বাদ ভৌমিক।
অরূপ দাসের বক্তব্য, “রাজ্য পুলিশ তো পার্থকে ছোঁওয়ার সাহস রাখে না। তাই আমরা এ ভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি করলাম।”
আশীর্বাদ ভৌমিক সংবাদমাধ্যমে জানান, “শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধেই আমাদের এই প্রতিবাদ। প্রতিবাদ আরও তীব্র করতেই আমাদের এই অভিনব পন্থা।”
বিজেপি যুবমোর্চার পক্ষ থেকে এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর ইস্তফার দাবি তোলা হয়।
উল্টোদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চেয়ারম্যান অজিত মাইতির পাল্টা এই প্রতিবাদ সভা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, “গত বিধানসভা ভোটে বাংলার মানুষ বিজেপিকে কোমরে দড়ি বেঁধে ঘুরিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। আবার পঞ্চায়েত ভোটে এ ভাবেই বাড়ি পাঠাবে। ওরা বোধহয় মহড়া করছে।” অর্থাৎ বিজেপি যুবমোর্চা নিজেদেরই কোমরে দড়ি পরাবার রিহার্সাল দিচ্ছেন! বিষয়টিকে এভাবেই তুড়িতে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস!