মমতার ছড়া এবং কবিতা থেকে বেছে বেছে লাইন তুলে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে পাল্টা সমালোচনায় নামলেন তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা অ্যাকাডেমির বিশেষ একটি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর লেখার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ওঠাটাই স্বাভাবিক। তবে গোড়াতেই ব্রাত্য বসু এটা পরিস্কার করে বলতে চেয়েছেন, “বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ কাজকর্ম সামলেও যাঁরা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন, তাঁদের জন্যেই অ্যাকাডেমির এই পুরস্কার।” যেটা তাঁর বক্তব্যে অনুল্লেখিত, ‘এই পুরস্কার গুণগত মান দ্বারা নির্ধারিত নয়!’ বাঙলির একাংশ সে ইঙ্গিত ধরতে পেরেছেন, যদিও এই পুরস্কার নিয়ে সমালোচনার অবকাশ থাকতেই পারে।
তবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা নিয়ে যাঁরা ব্যাঙ্গাত্মক টিপ্পনী কেটে চলেছেন তাদের পাল্টা একহাত নিতে আসরে নামলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। একটি ফেসবুক পোস্টে মমতার লেখা ‘হরে করো কমবা/গরু ডাকে হামবা-‘র প্রকৃত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে দেবাংশু লিখেছেন,”দিদির কবিতায় ওরা নিজেদের খুঁজে পায়! তাই হাসে…।” বিজেপি এবং সিপিএমকে ইঙ্গিতে গরু বলে আখ্যা দিয়ে দেবাংশুর বিশ্লেষণ,!যারা তাঁর লেখা ‘আজব ছড়া’ শুনে হাসেন কিংবা ‘হরে করো কমবা’ শুনে হাসেন, ঠিকই করেন। এই নির্দিষ্ট কবিতাটির প্রথম তিনটি লাইন দেখুন, ভারত শাসন করা একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে!”
এরপর সিপিএমকে লক্ষ্য করে দেবাংশুর আরো সংযোজন, “এই কবিতাটির শেষ চারটি লাইন দেখুন। ফেসবুক দেখলেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের কর্মীদের দেখবেন যারা সারাক্ষণ ‘হুব্বা’র মতো সবজান্তা ভাব দেখান! কেবল নিজেদেরই শিক্ষিত ভাবেন! তাই আব্বাস নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ‘তওবা তওবা আব্বা’ করে বেরানো একটি দল! নিজেদের সেক্যুলারিজমের পিন্ডি চটকানো একশ্রেণীর ‘হুব্বা’ গোছের রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে আগাম যেন উনি লিখে ফেলেছিলেন তাঁদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, আসনসংখ্যা…বলুন তো কোথায়? হ্যাঁ, এই কবিতার শেষ থেকে তৃতীয় লাইনে…’ডোব্বা ডোব্বা রোব্বা’।”
তবে শুধুই তরল হাসিঠাট্টা নয়। দেবাংশু মমতার একটি কবিতা (গীতি কবিতা)-র কথাও উল্লেখ করেছেন, যেটা অ্যাকাডেমি পাওয়ার উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে তর্ক চলতে পারে, তবে এই লাইনগুলো সামনে রাখলে লেখাটিকে অযোগ্য বলে ফেলে দেওয়া যাবেনা কিছুতেই।
দেবাংশুর কথাতেই বলতে হয়, “যিনি লিখতে পারেন ‘মাগো তুমি সর্বজনীন/আছো হৃদয় জুড়ে/ মা আম্মি মাদার একই/ভুলি তা কীকরে?…” তাঁর এই লেখাগুলি আবেদনপূর্ণ না বললে সত্যের একটা দিকই দেখতে পাওয়া যায়।