বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিতর্কের জেরে খবরের শিরোনামে থাকেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। কখনও আবার বিজেপিকেও তোয়াক্কা করেননা! ইতিমধ্যেই তিনি বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ নামে পরিচিত। এমনকি বহু বিতর্কিত পোস্টের জেরেই তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল নিষিদ্ধ করেছে সংস্থা। তবুও তিনি বলিষ্ঠ মতামত রাখতে পিছপা হননি। আর এবার প্রকাশ্যেই ঘোষণা করলেন — তিনিই এই মূহুর্তে দেশের সবচাইতে শক্তিশালী নারী। ইনস্টায় প্রকাশিত তাঁর এই লেখার ছবিটি ট্যুইটে শেয়ার করে নায়িকা সম্পর্কে উল্লেখ করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
তিনি স্বাধীনতা নিয়ে মতবাদ রেখেছেন। ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েই থামেননি, মোদীজিকে শ্রেষ্ঠ শিরোপা দিয়ে ২০১৪ সালকেই ভারতের প্রকৃত স্বাধীনতার বছর বলে উল্লেখ করেছেন। আবার সেই প্রধানমন্ত্রীকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য দোষারোপ করে ইন্দিরা গান্ধীকেই শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী বলে ইঙ্গিত দিতেও ছাড়েননি।
জনস্বার্থ ভুলে কৃষক আন্দোলনকে ‘খলিস্তানি জঙ্গি আন্দোলন’ আখ্যা দিয়ে বিজেপির প্রশংসা কুড়োলেও প্রবল ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে এফআইআর করেছে পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়। মতামতের প্রবল স্ববিরোধী দ্বন্দ্ব থাকলেও একের পর এক ইস্যুতে প্রতিবাদ করেই চলেন কঙ্গনা। এর জন্য তিনি খনো বিজেপির দ্বারা প্যাম্পার্ড, কখনো আবার কারুর কাছে সমালোচিত , বালিকা সুলভ চঞ্চল বলেও কটাক্ষ পেয়েই চলেছেন।
আবার এই কঙ্গনাই কখনও ইতিহাসের পাতা উল্টিয়ে ক্ষুরধার যুক্তিতে গৌরবের সাথে তুলে আনেন ১৮৫৭-র সিপাহী বিদ্রোহকে। প্রবল দেশপ্রেমের আবেগ নিয়ে ২৬/১১-র নৃশংস জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। সম্প্রতি এই কারণে তিনি খুনের হুমকিও পেয়েছেন। তবুও ঘোষণা করেছেন দমানো যাবেনা কঙ্গনাকে।
বলিউডের এই চপল চতুর কন্যা যেন স্বভাব প্রতিবাদী। তেমনি অবলীলায় নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে হাসতে হাসতেই লিখে বসলেন ,”হা হা হা! এই মূহুর্তে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী মহিলা আমি “।
‘ঝাঁসির রাণী’ কঙ্গনা রানাওয়াতকে সত্যিই বোঝা দায়!