কিছুদিন আগেই দেশজুড়ে কয়লার তীব্র সঙ্কটের কথা জানা গিয়েছিল। দিল্লির বিদ্যুত মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আশঙ্খা করেছিলেন অন্ধকারে রাজধানী ডুবে যেতে পারে।এদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে আশঙ্খা জানিয়ে চিঠি লিখেন।
ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।কেন্দ্রীয় বিদ্যুত মন্ত্রী জানান অহেতুক আতঙ্কের কারণ নেই।পরিমান মত কয়লার জোগান আছে। এদিন কেন্দ্রীয় বিদ্যুত মন্ত্রী আর কে সিং বলেন, পর্যাপ্ত বিদ্যুত মজুত রয়েছে।ঠিক মতই বিদ্যুত সরবারহ করা হচ্ছে।বিশেষ কোন রাজ্যের বিদ্যুতের প্রয়োজন থাকলে কেন্দ্রকে তা অবশ্যই জানাতে পারে।প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে। অকারণে কেন রটিয়েছে যে দেশে মাত্র ৪ দিনের মত কয়লা মজুত আছে।প্রয়োজনে দিল্লী থেকে বিদ্যুত সরবারহ করা হবে।
দেশ থেকে ও বিদেশ থেকে আমদানি ও কয়লার সরবারহ ঠিকঠাক হচ্ছে। এই সপ্তাহের প্রথম দিকে গুজরাট,দিল্লি রাজস্থান, পঞ্জাব ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি অভিযোগ করে তাদের তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলিতে মজুত থাকা কয়লা শেষ হওয়ার দিকে রয়েছে।
এমন পরিস্থিতির কথা জেনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুত সরবারহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। গত শনিবার শোনা গিয়েছিল দেশের তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলিতে কয়লা মজুত প্রায় শেষের দিকে রয়েছে।তার ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আর কে সিং জানিয়েছেন,যে কয়লা ঠিকঠাক মজুত আছে।টানা বৃষ্টির কারণে খনিগুলিতে জলে ডুবে যাওয়ার জন্য কয়লা উত্তোলনে ঠিকমত হয়নি। চাহিদার বৃদ্ধির ফলে কয়লার জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়লার অভাব নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করার কোন কারণ নেই। আশা করা যাচ্ছে ভবিষ্যতে সব সমস্যা মিটে যাবে।