অবশেষে বাড়ি ফিরলেন আরিয়ান। প্রায় একমাস জেলে কাটিয়ে সন্তান ফিরে এলেন বাবা মায়ের কাছে। এখন আর তিনি ৯৫৬ নম্বর নন। বলিউডের বেতাজ বাদশা শাহরুখ খান এর পুত্র আরিয়ানের ফেরার সময়ে বাড়ির বাইরে শাহরুখ ভক্তদের আয়োজনও কিছু কম ছিলনা। বাজনা বাজিয়ে , বাজি ফাটিয়ে, হনুমান চালিসা পাঠ করে তুমুল হইচই শুরু হয়ে গেছিল মান্নত -এর বাইরে।
আর বাড়ির অন্দরমহলে তখন মা-বাবাকে জড়িয়ে সন্তান। আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না কেউই। রীতিমতো কান্নাকাটি করেছেন এই ২৩ বছরের তরুণ। কম ধকল তো যায়নি কয়েকদিন ধরে তার ওপর মানসিক গ্লানি।
প্রায় একমাস ধরে আরিয়ানকে কেন্দ্র করে কত কিছুই না ঘুরে চলল! দুঃসাহসী গোয়েন্দা, দুর্দমনীয় মাদক চক্র, ঘুষ , রাজনৈতিক টানাটানি, সেলেব্রিটি জগতের কিসসা — সবকিছুর মধ্যে থেকেও উঁকি দিচ্ছিল একটা ছবি, সন্তানের জন্য মা-বাবার দুশ্চিন্তার মুখচ্ছবি। কারণ দিনের শেষে সব সন্তানের জন্যই বাবা মায়ের অনুভূতি সমান। ছোট ভাইটা দাদাকে এতদিন পর কাছে পেয়ে উচ্ছ্বসিত। দূর থেকে ফোনে দাদার গলা শুনে আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়ল বোন।
প্রার্থনা করেছিলেন শাহরুখ ও গৌরী। ইনস্টায় গণেশ মূর্তির ছবি দিয়ে প্রার্থনা করেছিলেন বাদশাও। ছেলেকে কাছে পেয়ে এবার মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পূজো দিতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
আরিয়ানের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে বিশেষ উদ্বিগ্ন গৌরী। ডাক্তার দেখানো, টেস্টের পাশাপাশি খাওয়া দাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ডায়েটও তৈরি করছেন আরিয়ানের মা। এছাড়াও আরিয়ানের জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞকেও নিযুক্ত করার প্রয়োজন বোধ করছেন শাহরুখ ও গৌরী।
জেরার সময় যে ছেলেটি বলেছিল,” বাবার সাথে দেখা করতে গেলেও অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হত” ; আর এই মন্তব্য ঘিরে সেলিব্রিটি বাবাকে যারা লাগাতার দোষারোপ করে যাচ্ছিলেন, তাদের এটাও জেনে রাখা জরুরি — জেলে দেখা করার সময় ওই সেলেব বাবার কাছেই তাঁর সন্তান জানিয়েছিল জেলের খাবার তার খেতে কষ্ট হচ্ছে! সেই সময় শাহরুখের অনুভূতি নিশ্চয়ই অন্য বাবার চাইতে কম কিছু নয়।
এবার সন্তানের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখার জন্যই ডাক্তার এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শের প্রয়োজন বোধ করছেন শাহরুখ ও গৌরী। পাশাপাশি কীভাবে তাকে আরো ঘিরে থাকা যায়, বাবা-মা হিসেবে সেই চেষ্টাও করে চলেছেন।