পরমব্রতর রাজনৈতিক অবস্থান কী? এ প্রশ্ন বহুদিনের। এমনকি সতীর্থ বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে মন্তব্যের সময়ও এই নিয়ে খোঁচা খেতে হয়েছে টলিউডের ব্যস্ততম অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। ‘পরম তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্বচ্ছ করুন’ এই দাবি অনেকেরই।
এতদিন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন বলেই পরমব্রতকে জানতেন সবাই। তাই সেই পরমকে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতে দেখে, অনেকেই কনফিউজড হয়ে গেছেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে তুমুল আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে।
পরমব্রত নিজেই তার উত্তর দিলেন। পরিস্কার করেই জানালেন, বিজেপি বিরোধী অবস্থান থেকেই তৃণমূলের মিছিলে এই যোগদান। একই সঙ্গে এটাও বলেন,”দেশে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেরা।”
শুক্রবার তৃণমূলের একটি প্রচারের মিছিলে পরমব্রতকে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর থেকেই সমালোচনা তুঙ্গে। এর পরেই সংবাদ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, “আমাকে অতীতে কখনও রাজনৈতিক মিছিলে দেখা যায়নি, আর ভবিষ্যতেও দেখা যাবেনা। তবে আমি যে বিজেপি বিরোধী সেটা সকলেই জানেন। বরাবরই প্রকাশ্যে একথা আমি জানিয়েছি। আমি মনে করি এই মূহুর্তে দেশে যেক’টি বিজেপি বিরোধী শক্তি রয়েছে, তার মধ্যে তৃণমূলই আদর্শ বিকল্প।সর্বভারতীয় স্তরেও বিজেপি বিরোধী মুখগুলোর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সেরা।”
কিন্তু রাজনৈতিক মিছিলে তিনি হঠাৎ অংশ নিলেন কেন? এর জবাবে পরমব্রত বলেছেন, “একেবারে ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই গিয়েছিলাম। তার মানে এই নয় আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি বা প্রার্থী হব। তা নয়। অনেকেই রাজনীতিকে পেশা হিসেবে দেখেন। আমি তা দেখিনা। আর বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূলের যেমন সমালোচনা করেছি, ভবিষ্যতেও করব।”
এছাড়াও অরূপ বিশ্বাসকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, এবং তিনি বিপদে আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান, এটা জেনেই তাঁরই ডাকে মিছিলে গিয়েছিলেন এটাও জানান পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি যে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন, তাঁর সম্পর্কেও মতামত প্রকাশ করে বলেছেন, “প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীকেও আমি চিনি। শিক্ষিত যুবক। আমি মনে করি নতুন প্রজন্মের এইধরণের মুখের প্রয়োজন রয়েছে রাজনীতিতে। তাই তাঁকে সমর্থন করে ব্যক্তিগত জায়গা থেকেই মিছিলে গেছিলাম। ”
সরাসরি রাজনীতিতে আসবেননা, তাসত্ত্বেও তৃণমূলের মিছিলে গিয়ে, খোলাখুলি স্বীকার করলেন পরমব্রত — মোদীকে হারাতে বিকল্প শক্তি একমাত্র মমতাই।