প্রবাসী চাকুরিজীবীদের জন্য ভিসার মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে অনেকটা সুরাহা দিল আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসন।
ভারত বা অন্য দেশ থেকে যাঁরা আমেরিকায় চাকরি করতে যান তাঁদের এইচ-১বি ভিসা এবং তাঁর স্ত্রী বা স্বামী অথবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের এইচ-৪ ভিসা দেওয়া হয়। একইভাবে আমেরিকা থেকে কেউ অন্য দেশে চাকরি করতে গেলে এল-১ ভিসা এবং তাঁর পরিবার এল-২ ভিসা পেয়ে থাকেন। সাধারণত দেখা যায় এইচ-৪ ভিসাধারীদের ৯০ শতাংশই মহিলা। সমস্যা হয় চাকরির ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়ে যাবার পর।
ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হলে এইচ-৪ এবং এল-২ ভিসাধারীরা চাকরি করতে পারেননা। অনেকেই নতুন পারমিটের আবেদন করার পর সেটির দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকেন, তবে প্রক্রিয়াগত সমস্যার কারণে তা পেতে দেরি হয়, অনেকক্ষেত্রে প্রায় ২ বছর সময় লেগে যায়। অনেকে আবার নতুন করে পারমিট পাননা, স্বাভাবিক ভাবেই চাকরি খোয়াতে হয়। বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে এই দীর্ঘকালীন প্রক্রিয়ায় অনেককেই চাকরি হারাতে হয়েছে।
এই সমস্যাই চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। পরিস্থিতির জটিলতা নজরে আসে গত মার্চ মাসে ১৩ জন ভারতীয় সহ ১৫ জনের করা আদালতের একটি মামলায়। ওই মামলাতেই আমেরিকার অভিবাসন নীতিকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ বাড়ানোর দীর্ঘকালীন অপেক্ষা এবং চাকরি চলে যাওয়ার বিষয়গুলি প্রশাসনের নজরে আসে। এর ফলেই নীতি সংশোধনের তাগিদ অনুভব করে আমেরিকা।
এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই ওয়াশিংটনের ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট গত বুধবার তাদের নির্দেশে ঘোষণা করল — এইচ-৪ এবং এল-২ ভিসাধারীদের মেয়াদ এবার আপনা থেকেই ১৮০ দিন বেড়ে যাবে। এল-২ ভিসাধারীদের পুনরায় আবেদনের প্রয়োজনই হবেনা, আর এইচ-৪ দের আবেদনের পরেও পারমিট নবীকরণে দেরি হলে আপনা থেকেই বিশেষ প্রক্রিয়াগত মাধ্যমে পারমিটের মেয়াদ ১৮০ দিন অর্থাৎ ছমাস বেড়ে যাবে।
আমেরিকার এই নির্দেশে প্রবাসী ভারতীয় এবং অন্যান্য দেশের প্রবাসী চাকুরিজীবীরা অনেকটাই স্বস্তি পেলেন।