১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের দিন। আর এই দিনটিকেই ‘উচ্ছ্বাস দিবস’ রূপে উদযাপন করার জন্য পরের দিন কাঁথি সহ মেদিনীপুরের কিছু জায়গায় মিছিল বের করেন তৃণমূল কর্মীরা। যার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বাড়িতে, অশক্ত বৃদ্ধ বাবা মায়ের সামনে অশোভন আচরণ বলে জনসাধারণের কাছে সহানুভূতি চেয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন।
যদিও গেরুয়া শিবিরের অনেকেই তৃণমূলের এই ‘উচ্ছ্বাস দিবস’-কে পক্ষান্তরে শুভেন্দু অধিকারীরই গুরুত্ব পাওয়া বলে মনে করছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের মতে, ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে চিহ্নিত শুভেন্দু অধিকারী দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও ক্ষতির বদলে লাভ হয়েছে এটা বোঝাতেই উদযাপন।
১৯ তারিখ কলকাতা পুরনির্বাচন থাকার ফলে পরের দিন উদযাপন করেন তৃণমূল কর্মীরা। কাঁথি সহ বেশ কিছু জায়গায় ‘গদ্দার হটাও’ শ্লোগান তুলে তৃণমূল কর্মীরা পদযাত্রায় সামিল হন।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছিলেন, “বাংলার মানুষ দয়া করে তৃণমূলের নোংরামির সংস্কৃতি দেখুন। আমার বাড়ির সামনে জোরে জোরে গান বাজানো হচ্ছে। তার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি যে অশোভন, সেটাও ভাবছেনা তৃণমূল। ”
এরপর সেই ট্যুইটেই পারিবারিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তৃণমূল কংগ্রেসের আচরণের বিপরীতে, জনসাধারণের কাছে সহানুভূতির আবেদন করে তিনি আরো বলেছেন,”আমি কর্মব্যস্ত বলে একেবারেই বাড়িতে থাকতে পারিনা। কিন্তু বাড়িতে আমার ৮৩ বছরের বাবা শিশির অধিকারী থাকেন। আমার ৭৪ বছর বয়সী অসুস্থ মা-ও এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।”
এবার শুভেন্দুর অভিযোগেরই পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুনাল ঘোষ। তিনি ট্যুইট করে বলেন,”শুভেন্দু মিথ্যা বলছে। কাঁথিতে ওর বাড়ির সঙ্গে কেউ অন্য আচরণ করেনি। রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়েছে।ও যখন রাজনৈতিক জন্মদাত্রীকে কুকথা বলে তখন?২০১৩-য় আমি গ্রেপ্তারের পর আমার ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের সামনে বাড়ির কাছে মাইক বাঁধার সময় মনে ছিল না শুভেন্দু?রাজনৈতিক বেজন্মা।”
কুনালের এই ট্যুইট বিবৃতি বাংলার রাজনীতির গত একদশকের ঘোলা জলকে আরো একটু ঘেঁটে দিল বলেই অনেকে মনে করছেন।