১৯৪৭ সালের স্বাধীনতা প্রাপ্তিকে ‘ভিক্ষা’ বলে উল্লেখ করলেন পদ্মশ্রী প্রাপ্ত বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানওয়াত। তাঁর এই মন্তব্য প্রকাশে রীতিমতো ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে আপ(আম আদমি পার্টি) ।
১৯৪৭ সালে অসংখ্য শহীদের আত্মবলিদানের বিনিময়ে পাওয়া ভারতের স্বাধীনতাকে ‘ভিক্ষা’ বলে অপমান করলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, “১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার নামে যা এসেছিল তা ভিক্ষা। আসল স্বাধীনতা এসেছে ২০১৪ সালে”। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবার পরেই প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছে, এমন ইঙ্গিতই করতে চেয়েছেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা।
অভিনেত্রীর এই মন্তব্যকে দেশের পক্ষে অপমানজনক মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ট্রিবিউন ইন্ডিয়ার খবর সূত্র অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে আাদলতে মামলা করতে চেয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন আপ দলের নেত্রী প্রীতি শর্মা মেনন । ইন্ডিয়ান পিনাল কোডের ৫০৪, ৫০৫ ও ১২৪ ধারায় মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রীতি।
প্রসঙ্গত, ‘গ্যাংস্টার’ ছবির মাধ্যমে প্রথম বলিউডে এই অভিনেত্রীর আত্মপ্রকাশ। অভিনয় মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি সবসময়ই কোনো না কোনো ইস্যুতে বিতর্কের শিরোনামে থেকেছেন কঙ্গনা। অভিনয় কৃতিত্বের জন্য ৪ বার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত এই বলিউড অভিনেত্রী ২০২০ সালে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান পেয়েছেন।
তবে জাতীয় স্তরের অভিনেত্রী কঙ্গনার কাছে এহেন জাতীয় অপমানসূচক উক্তি কেউই আশা করেননি। এদিনের মন্তব্যের ফলে ইতিমধ্যেই বিতর্কে রাজনৈতিক রঙ লেগে গেছে। অনেকেই এর পেছনে বিজেপির ইন্ধনের গন্ধ পাচ্ছেন। তাঁদের মতে রাফাল যুদ্ধ বিমান সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ থেকে নজর সরানোর জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই কঙ্গনাকে দিয়ে এমন প্রচার করিয়েছে বিজেপি। কারণ যাই থাক, কঙ্গনার বিরুদ্ধে এইমূহুর্তে রীতিমতো সরব হয়ে উঠেছে নেটমহল।