পার্কস্ট্রিট ধর্ষণকান্ড সহ একাধিক তদন্তে আলোড়ন সৃষ্টিকারী তুখোড় আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন আবার ফিরছেন। সম্প্রতি হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ ও মৃত্যুর তদন্ত, এছাড়াও তিনটি ধর্ষণকান্ডের তদন্তভার তাঁর হাতে তুলে দিল হাইকোর্ট।
হাঁসখালির ঘটনার সূত্র ধরেই যে দময়ন্তী সেনের নাম ঘুরেফিরে এসেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। নিরপেক্ষ তদন্তকারী হিসেবে দময়ন্তী সেনের আলাদা একটি সুনাম রয়েছে। তাই রাজ্যের ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিচারবিভাগ দময়ন্তী সেনের হাতেই মাটিয়া, হাঁসখালি, দেগঙ্গা ও ইংরেজবাজারে ঘটে যাওয়া ৪টি ধর্ষণকান্ডের দায়িত্বভার তুলে দিলেন।
আদালতে জনস্বার্থ মামলা চলাকালীন রাজ্যের তরফের আইনজীবী ‘কাউন্টার’ করার পরিবর্তে স্বীকার করেছেন, “আমি বাকরুদ্ধ। আগে দিল্লী বা অন্যান্য রাজ্য থেকে এই ধরনের লাগাতার অভিযোগ পাওয়া যেত। পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য অন্যতম সুরক্ষিত রাজ্য হিসেবেই গণ্য হত। আমরা এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।”
বোঝাই যাচ্ছে পরপর ঘটে চলা একাধিক ধর্ষণের ঘটনায় বিচারবিভাগীয় সকলেই চিন্তিত। তাই হাইকোর্টের ডিভিসন বেঞ্চ ‘সিট’ তদন্তকার্যের ওপরে স্থান দিয়েছেন আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। মূলত তাঁরই তত্ত্বাবধানে ৪টি ধর্ষণকান্ডের তদন্ত করবে ‘সিট’।
সম্প্রতি হাঁসখালিতে নাবালিকার ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন তুলেছে গোটা রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি রাজ্যে কেন ঘটে চলেছে এতের পর এক নিন্দনীয় নির্মম ঘটনা! এবার তার গভীরেই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিতে চলেছেন দময়ন্তী সেন।
প্রসঙ্গত,বসিরহাটের অন্তর্গত মাটিয়ায় ১১ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। একটি পার্ক থেকে মেয়েটিকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই ইংরেজবাজার ও দেগঙ্গায় দুটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আর সদ্য ঘটে গিয়েছে নদীয়ার হাঁসখালিতে ক্লাস নাইনে পড়া মেয়েটির ধর্ষণ। মেয়েটির প্রেমিক সোহেল গয়ালি এখন পুলিশের জিম্মায়। তবে লাশ জ্বালিয়ে ফেলার কারণে তদন্তপ্রক্রিয়া জটিল আকার নিয়েছে। দময়ন্তী সেন নামটি পশ্চিমবঙ্গে সুপরিচিত। তিনি কি পারবেন তদন্তের কিনারা করতে? সেদিকেই তাকিয়ে রইল পশ্চিমবঙ্গ।