আসানসোল হাতছাড়া হওয়া মানে বিজেপির বড় ক্ষতি। এবার ঠিক সেটাই ঘটল। কেননা এই কেন্দ্রে বিজেপির একক শক্তি প্রতিফলিত হয়েছে পরপর ২বার –২০১৪ এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া আবিরের ঝড় উঠেছিল আসানসোলের হাওয়ায়। সেই কেন্দ্রে অগ্নিমিত্রা পালের পরাজয় তিনি নিজেই মেনে নিতে পারছেননা।
ফলাফল প্রকাশের পরেই ট্যুইটারে নরেন্দ্র মোদীকে ট্যাগ করে সেই আক্ষেপের বার্তা দিয়েছেন বিজেপির পরাজিতা প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি যে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে না পারায় ভেঙে পড়েছেন, অগ্নিমিত্রার ট্যুইট থেকে সেটা স্পষ্ট।
তবে দুএকটি বিষয় লক্ষ্য করার মতো। ২০১৪ এবং ২০১৯ দুইবারেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে প্রচারে এসেছিলেন এবং মুক্তকন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, “হামে বাবুল চাহিয়ে!” প্রধানমন্ত্রীর এই জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়েছিল ইভিএম। পরপর দুবারই বিপুল ভোটে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তবে এবারে বাবুল সরে যাওয়ায় তাঁরই শূন্যস্থান পূরণের এই উপনির্বাচনে দেখা মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর।
এটা জরুরি ছিল বলেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন। তার কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর না আসাটা সাধারণ ভোটারদের মনেও হাওয়া ঘোরানোর পরোক্ষ প্রভাব তৈরি করে থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে অগ্নিমিত্রা পাল কি গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী ছিলেননা? এই প্রশ্ন ভোটারদের মনে আসাটা অস্বাভাবিক নয়। আর সেখানেই কিছু প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে।
সেইকারণেই কি আসানসোলে স্বইচ্ছায় প্রার্থী হতে চাননি অগ্নিমিত্রা পাল? সেইকারণেই কি হেরে যবার পর প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য ট্যুইটবার্তা?
ট্যুইটে অগ্নিমিত্রা পাল লিখেছেন, “দুঃখিত মোদীজি! আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আপনাকে এই সিট আপনাকে দিতে পারলামনা। আমার লড়াই বাংলার গণতন্ত্রকে রক্ষা করার। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। আমার এই লড়াই জারি রইল।”
ভেঙে পড়া সত্ত্বেও এভাবেই নিজের লড়াই জারির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন অগ্নিমিত্রা পাল।