সম্প্রতি ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির মূর্তি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করে বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী অদ্বৈত গড়নায়ককে মূর্তি নির্মাণের বরাত দিয়েছে কেন্দ্র। সেই অনুযায়ী ইন্ডিয়া গেটে হলোগ্রাম প্রতিকৃতও উন্মোচিত হয়েছে। আসল মূর্তিটির নির্মাণ চলছে, শেষ হতে অন্তত ৮ মাস সময় লাগবে, সূত্র মারফত এমনটাই প্রকাশিত। কিন্তু এরই মধ্যে মূর্তি নির্মাণকারী শিল্পী অদ্বৈত গড়নায়ক এমন একটি বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছেন যার ফলে এই মূর্তি ঘিরে আবারো এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ন্যাশনাল মডার্ন আর্ট গ্যালারীর পরিচালক অদ্বৈত গড়নায়কের ভাস্কর্যশিল্পের খ্যাতি রয়েছে। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি এবং গান্ধীজির বাসভবনের প্রকৃতিও তিনিই তৈরি করেছেন। এবার তাঁরই তত্বাবধানে ইন্ডিয়া গেটের নেতাজি মূর্তি নির্মাণ করছেন ৩০ জন সহশিল্পী।
জানা গেছে এই মূর্তির জন্য তেলেঙ্গানা থেকে কালো গ্রানাইট শিলা আনানো হয়েছে। এই মূর্তি প্রসঙ্গে প্রকাশ্য মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই অদ্বৈত গড়নায়ক বলেছেন, “শুধুমাত্র নেতাজির দৃঢ়তার পরিচয় দিতেই গ্রানাইট শিলাকে বেছে নেওয়া হয়নি। এই পাথরের রঙ কালো। মহা কালী ও শ্রীকৃষ্ণের রঙও তাই। সুতরাং নেতাজির মূর্তি তৈরি করতে গ্রানাইটের চেয়ে ভালো উপাদান আর কিছুই হতে পারেনা।”
শিল্পী অদ্বৈত গড়নায়কের এই মন্তব্যেই অনেকে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। নেতাজি মূর্তির সাথে হিন্দুধর্মের দেবতা প্রসঙ্গের তুলনা কেন এল? এটাই একাংশের প্রশ্ন। বিশেষত যেখানে সবারই জানা, হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলেও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোনওরকম ধর্মীয় আচার বা সাম্প্রদায়িক উল্লেখের পক্ষপাতী ছিলেননা!
প্রসঙ্গত, নেতাজির মূর্তি প্রতিষ্ঠাকে অভিনন্দিত করলেও নেতাজিকে নিয়ে দলগত সংকীর্ণ রাজনীতির বিপক্ষে মুখ খুলেছিলেন নেতাজির কন্যা অনিতা বসু পাফ এবং ভাইপো চন্দ্রকুমার বসু। এবার নেতাজি মূর্তির সাথে ধর্মীয় প্রসঙ্গ যুক্ত হয়ে আরেক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করল।