সম্প্রতি ডেনমার্কের এক সাংবাদিকের রিপোর্টে জানা গিয়েছে আফগানিস্তানের মাদক-মুক্তিকরণ অর্থাৎ রিহ্যাব সেন্টার গুলির ভয়ানক দৈন্য দশার কথা। এমনকি হাড়হিম করা এক তথ্য দিয়েছেন ওই সাংবাদিক। তিনি জানান, আফগানিস্তানের রিহ্যাব সেন্টারে মানুষের মাংস খাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে!
‘ডেইলি মেল’-এ প্রকাশিত একটি রিপোর্টে সাংবাদিক জানিয়েছেন আফগানিস্তানের মাদক রিহ্যাব সেন্টার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ব্যক্তির প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই এমন তথ্য তিনি পেশ করছেন। তালিবানদের দ্বারা পরিচালিক এখানকার রিহ্যাবগুলি নামেই চিকিৎসালয়। এখানে চিকিৎসা তো দূর, অসুস্থ রোগীদের ভালো করে খেতে পর্যন্ত দেওয়া হয়না। চিকিৎসা না পেয়ে, খাবার না পেয়ে অমানুষিক বর্বরতার শিকার হচ্ছেন মাদকাসক্ত রোগীরা। এর ফলে তাদের আচরণ জানোয়ারের চেয়েও হিংস্র হয়ে উঠছে।
রিহ্যাব সেন্টার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল। আব্দুল সাংবাদিকে জানায়, “কিছুদিন আগেই রোগীরা সেন্টারের অন্তর্গত পার্কের একটি বিড়াল মেরে কাঁচা মাংস খেয়েছে। এমনকি রিহ্যাবে নিজেদের ভেতরের একটি লোককে খুন করে তার মাংস পর্যন্ত খেয়েছে কয়েকজন!”
এই তথ্য চমকে দিয়েছে সভ্য মানুষের চিন্তাভাবনাকে। রোগীদের সাথে মধ্যযুগীয় বর্বর আচরণের জন্য রিহ্যাব সেন্টারের পরিচালকদেরই শাস্তি প্রাপ্য। কিন্তু কে দেবে শাস্তি? কাবুলের United Nation of Drugs and Crime সংস্থার এক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি জানিয়েছেন, তালিবানরা আরো বেশিমাত্রায় আফিম উৎপাদন করছে। ফলে দাম কমছে ড্রাগের।
মাদকাসক্তরাও সহজেই মাদক কিনতে পারছে। কিন্তু মাদক ছাড়ার জন্য রিহ্যাবে ভর্তি হচ্ছেন যারা, তারা হয়ে উঠছেন মাদকাসক্তের চেয়েও ভয়াবহ।
আর তার পরিণাম! মানুষের দ্বারা মানুষের মাংস ভক্ষণ!