‘সনাতন হিন্দুধর্মই শ্রেষ্ঠ, এর মধ্যেই একমত মুক্তি-র খোঁজ পাওয়া সম্ভব।’ এই অনুভব থেকেই পুলমান্ডিতে খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া ৫০ টি পরিবারের সদস্যরা সম্মিলিত হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন। তাঁদের নিজধর্মে ফেরা উপলক্ষ্যে বিপুল অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদ’। প্রশ্ন উঠছে, এত সংখ্যক মানুষজন একসাথে ধর্ম পরিবর্তন করতে চাইলেন কেন? হিন্দু ধর্মের রক্ষকদের তরফ থেকে কোনোরকম চাপসৃষ্টি করা হয়েছিল কি?
প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে অবশ্য প্রকাশ্য মাধ্যমে তাঁরা জানিয়েছেন বাইরে থেকে অনিচ্ছাকৃত কোনরকম প্রভাব খাটানো হয়নি, এই খ্রিস্টানধর্ম গ্রহণকারীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের সনাতন ধর্মে প্রত্যাবর্তন করতে চেয়েছেন।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ফতেহগড়ের পুল মান্ডির একটি বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়, যেখানে ৫০টি পরিবারের প্রচুর সদস্য খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন। পূজো আচার, হনুমান চাল্লিশা পাঠ ইত্যাদির মাধ্যমে তাঁরা ধর্মীয় অনুভূতির আত্মীকরণ করছেন। বাড়ির গৃহীনি মহিলারা বিশেষভাবে এতে খুবই উৎসাহী। তেমনই একজন গৃহবধূ ঋতু, ইনি ব্যক্ত করেছেন নিজের মনের কথা।
মহল্লা গোয়ালতলির অধিবাসী শিক্ষক সুজিত বাল্মিকীর পত্নী ঋতু বলেছেন, “পাঁচবছর আগে কিছু লোকজনের সংস্পর্শে এসে আমি গীর্জায় যেতে শুরু করেছিলাম। এখন বুঝতে পারছি হিন্দুধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। কেননা এর মাধ্যমেই একমত মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া যায়।” কিসের থেকে মুক্তি? এই প্রশ্নের কোনও সঠিক জবাব দিতে না পারলেও, এই হিন্দু রমণী জানিয়েছেন হিন্দুধর্মে ফিরতে পেরে তিনি খুব খুশী।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক দীনেশ তোমার বলেছেন, এই ধর্মান্তরিত ৫০ টি পরিবারের হিন্দু ধর্মে ফেরার ব্যকুল আগ্রহ দেখে বাধ্য হয়ে অন্য কর্মসূচি বাতিল করে অনুষ্ঠানে এসে যোগ দেন।
এমনই আরো ৬০০ টি খ্রিস্টান ও অন্যধর্মের পরিবার তালিকাভুক্ত রয়েছে, যারা হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে চায় এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।