যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে প্রায় ২০,০০০ ভারতীয় পড়ুয়ার অনেককেই দেশে ফেরানো হলেও এখনও কয়েকশো ছাত্রছাত্রী ইউক্রেনের সুমি-তে আটকে রয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে ভারত।
দিল্লীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে দাবি রাখা হয়, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশের কাছেই ‘সেফ প্যাসেজের’ আবেদন করা সত্ত্বেও যুদ্ধবিধ্বস্ত সুমি শহরে এখনও পর্যন্ত কয়েকশো ছাত্রছাত্রী চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তারা ঘরে ফেরার অপেক্ষায়। অথচ গোলাগুলিদ মধ্যে দিয়ে তাদের সুরক্ষিতভাবে বার করে আনা যাচ্ছেনা।’
রাষ্ট্রপুঞ্জের ভারতীয় প্রতিনিধি টি.এস.তিরুমূর্তি ইউক্রনের সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে একে মানবিকতার পরিপন্থী বলে ব্যাখ্যা করেন। আকঙ্কিত ছাত্রছাত্রীদের দুরবস্থার কথাও বর্ণনা করেছেন তিনি। শুধু ভারতের নয়, ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের অবস্থার দিকেও রাষ্ট্রপুঞ্জের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিরুমূর্তি।
এই অনুযোগের পরেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভারতীয় সহ আটকে থাকা সমস্ত বিদেশি ছাত্রদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর জন্য ‘হিউম্যান করিডর’ তৈরি করা হয়। ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, এই ‘হিউম্যান করিডর’ দিয়ে সুমি থেকে পোলটাভা হয়ে পড়ুয়াদের ফেরানোর রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। উদ্ধারকার্যের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী।
দূতাবাস থেকে আরো জানানো হয়েছে, ‘প্রায় ৭০০ ভারতীয় পড়ুয়া এখনও ইউক্রেনের সুমি শহরে আটকে রয়েছে। হিউম্যান করিডর দিয়ে মিশন গঙ্গার মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এর মধ্যেই আবারো একবার রাশিয়া-ইউক্রেনের বৈঠক হয়েছে, যদিও তা মোটেই ফলপ্রসূ হয়নি। তবে ভারতের আবেদনে এবং বিদেশি নাগরিকদের ‘সেফ প্যাসেজ’ দেওয়ার কারণে মঙ্গলবার যুদ্ধে সাময়িক বিরতি দেয় রাশিয়া।