কাশ্মীর ফাইলস ছবির চূড়ান্ত সাফল্যের পর বিবেক অগ্নিহোত্রীর পরবর্তী প্রোজেক্ট ‘দ্য দিল্লী ফাইলস।’ ১৯৮৪ সালে শিখদের ওপর নির্যাতনের কাহিনী নিয়েই ছবিটি নির্মিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বানানো তো দূর, ছবিটির বিষয়বস্তু শোনামাত্রই তীব্র বিরোধিতায় নামলো মহারাষ্ট্রের শিখ সম্প্রদায়।
বলিউডের বক্সঅফিসে একদিকে রেকর্ড সৃষ্টিকারী উল্টোদিকে তেমনই বহু বিতর্কিত সিনেমা ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস।’ এই ছবি যেভাবে দেশের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে তাতে অতি পরিমাণে উৎসাহিত হয়েছেন চিত্রপরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। এতটাই উৎসাহিত যে, তিনি ঠিক করেই নিয়েছেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকেই সাম্প্রতিক ছবির বিষয়বস্তু করে ছবি বানাবেন। তেমনই এক ঘোষণা –পরবর্তী ছবি ‘দ্য দিল্লী ফাইলস।’
তবে এই ছবি যে সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের কাহিনীর ওপর নির্ভর করে তৈরি হতে চলেছে, সেই শিখ সম্প্রদায়েরই আপত্তি লক্ষ্য করা গেল। শিখ সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাতে পরিস্কার লেখা –“সৃষ্টিশীল কাজ ও ব্যক্তিগত মুনাফার জন্য শিখবিরোধী হিংসার মতো মানবজাতির পক্ষে দুর্ভাগ্যজনক ওই ঘটনাকে ব্যবহার করা চলবেনা।” শিখদের স্পর্শকাতর জায়গা নিয়ে বাণিজ্য করার বিরোধিতা করেছে শিখ সম্প্রদায়। যদিও বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর ছবির কাহিনী সম্পর্কে বিশদে কিছুই জানাননি। তবে ঘোষণা থেকে ১৯৮৪-র দাঙ্গার ঘটনাটির কথাই অনুমান করা যাচ্ছে।
যদিও বিবেক কিন্তু শিখদের আপত্তিকে একেবারেই আমল দিচ্ছেননা। উল্টে তিনি চিত্রপরিচালকের স্বাধীনতার দাবি তুলেছেন।
বিবেক অগ্নিহোত্রী সাফ বলেছেন, “আমি জানিনা কোন সংগঠন এর বিরোধিতা করছে। আমি একজন ভারতীয় এবং একটি সার্বভৌম দেশে বাস করি। সেই অধিকার থেকেই আমি যেকোনও ইস্যু নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতেই পারি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেধরনের ছবি বানানো দরকার আমি তা বানাবো।”
বিবেকের সংযোজন, “আমার বিবেক যা বানাতে বলবে তা আমি বানাবোই। আমি কোনও সংগঠনের চাকর নই যে, তাঁদের কথা আমাকে শুনতে হবে। আমার পরবর্তী ছবির কথা শুনে অনেকেই জল্পনা ছড়াচ্ছেন, সেটা তাঁরা করতেই পারেন। তবে ছবিটি দর্শকদের দেখার উপযোগী হবে কিনা তা সিবিএফসিই ঠিক করবে, অন্য কেউ নয়।”