চিফ হুইপ পদে থেকে যার নামে যা খুশি বলে যাবেন, সেটা চলতে দেওয়া হবেনা, প্রয়োজনে তাকেই সরিয়ে দেওয়া হবে এই মর্মেই তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ অপরূপা দলের চিফ হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’ বলেই চিহ্নিত করেছেন।
অভিষেককে কটাক্ষের প্রতিবাদে অপরূপা পোদ্দার বলেন, “সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ, আর তিনি যাঁর সম্পর্কে বলছেন তিনি দুবারের সাংসদ এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাই চিফ হুইপ হিসেবে যদি তাঁর কোনও মন্তব্য থাকে সেটা দলের ভেতরেই বলতে পারতেন, বাইরে নয়।”
প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কটাক্ষ করে প্রকাশ্য সভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে যে যাকে খুশি বসাতে পারে তবে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কাউকে নেতা বলে মানিনা।”
এই প্রসঙ্গ তুলেই অপরূপা পোদ্দারের বক্তব্য, “আমরা প্রত্যেকেই দলে মমতাদির আদর্শ নিয়ে চলি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত, কারণ তিনি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বলেছেন। এই তরুণ সাংসদকে আক্রমণ করা মানে আমাদের মতো তরুণ নেতানেত্রীদেরও আক্রমণ করা।”
অপরূপা আরো বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কিন্তু দলের মধ্যে ঘরশত্রু বিভীষণ যদি কেউ থাকে সেটা লজ্জার বিষয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছেন, আমি জেনারেশনের পর জেনারেশন তৈরি করে যাব। তৃণমূল সবসময়ের জন্য থাকবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মতাদর্শের বিপরীতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে রেখে অপরূপার কটাক্ষ, “এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সিনিয়র নেতৃত্বের কাজ। এইধরণের কথা বলে মনোবল ভেঙে দেওয়া নয়।”