ওঁরা এতই সুন্দরী যে চোখ ফেরানো দায়। এমনই খতরনাক রাশিয়ার এই মহিলা বাহিনী। একদিকে যখন মুখোমুখি যুদ্ধে রাশিয়া-ইউক্রেন, রাশিয়ার অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উঠে আসছে নানান চর্চা, তখনই আরো একবার আলোচনায় এসে গেল রাশিয়ান মহিলা প্লাটুন ও প্যারাট্রুপারদের প্রসঙ্গ, যেটা না জানলে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রস্তুতির ছক সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্যটি অজানা থেকে যাবে।
কথিত আছে প্রাচীনকালে ঋষিমুনিদের ধ্যানভঙ্গ করে টলিয়ে দিতেন উর্বশী, মেনকা, রম্ভা নামের সুন্দরী অপ্সরারা। কিন্তু তাঁদের অস্ত্রশিক্ষা জানা ছিলনা। সৌন্দর্যেই ঘায়েল করতে পারতেন তাঁরা। মুনিঋষির তপস্যা মানেই শক্তিসঞ্চয়, আর টলে যাওয়া মানেই শক্তিক্ষয়। তেমনই আধুনিককালে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা প্লাটুনরা যুদ্ধে তাঁদের সৌন্দর্যকে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগান। আর রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে এই প্লাটুনরা সংখ্যাধিক এবং অস্ত্রবিদ্যাতেও তাঁরা যথেষ্ট পারদর্শী।
প্লাটুনরা প্রধানত গেরিলা বাহিনী। যতটাই সুন্দরী, ততটাই মায়ামমতাহীন। প্রাণ নিতে বা প্রাণ দিতে মূহুর্তকালও তাঁদের সময় লাগেনা বলে জানা যায়। যুদ্ধশিবিরে এঁদের প্রয়োগ করা হয় একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে। সেটা হলো ছদ্মবেশে শত্রুশিবিরে ঢুকে ছলেবলে কৌশলে ব্লুপ্রিন্ট হাতিয়ে নেওয়া। দরকার হলে প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারেন চুম্বনের মূহুর্তেই!
রাশিয়ানদের মধ্যে বাছাই করা সেরা সুন্দরীদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘প্লাটুন’ তৈরি করা হয়। আর কথিত আছে, এই সুন্দরীদের সান্নিধ্যে শত্রুপক্ষের হাজারো কলকাঠি নড়বড়ে হয়ে যায়। সৌন্দর্য্যে মজিয়ে শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করে তুড়িতে হাসিল করে নেয় যুদ্ধের গোপন নথিপত্র।
এক্ষেত্রে রাশিয়ান মহিলা প্লাটুনদের ভয় পায়না এমন শত্রু জন্মায়নি।
আর তথ্য বলছে এই মূহুর্তে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে অন্তত ১ লক্ষ ৬৫ হাজার মহিলা প্লাটুন ও প্যারাট্রুপার রয়েছেন। যাঁদের কথা উঠলেই বিপক্ষের যুদ্ধ শিবিরের সৈন্যদের কানে কানে প্রবাদের মতোই ছড়িয়ে পড়ে হিমশীতল ফিসফিসানি– ‘সুন্দরী হইতে সাবধান!’