রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিকবার বলেছেন, দেশীয় ক্ষেত্রে ডাক্তারি পড়ার খরচ যদি কমানো যায়, তাহলে পড়ুয়াদের ইউক্রেন যেতে হবেনা। এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে বেসরকারি পুঁজিপুতিদের হস্তক্ষেপের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষা-স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রগুলিতেই বেসরকারীকরণের দিকে ঝুঁকছে সরকার। এক্ষেত্রেও ঘুরেফিরে সেই প্রশ্নই আসছে। সরকারের কোষাগারে কি টাকা নেই? গতকাল সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদিকে তিনি স্পষ্টতই ইঙ্গিত করেছেন, ইউক্রেন থেকে ফেরা ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর টাকা কেন্দ্রের কাছে নেই। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর অনুমতি চেয়েও রাজ্যসরকার সেই সহায়তা পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “কেন্দ্রের কাছে ইউক্রেন থেকে রাজ্যে ফেরা পড়ুয়াদের পড়ানোর জন্য শুধু অনুমতি চেয়েছি। এখনও কোনও উত্তর পাইনি।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোরালো দাবি,”ভারত সরকারের উচিত ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা।”
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বয়ান প্রমাণ করে তিনি গোটা দেশের শিক্ষার্থীদের জন্যেই চিন্তিত। শিক্ষা অসমাপ্ত রেখেই যেসব পড়ুয়া ইউক্রেন থেকে প্রাণ হাতে করেই ফিরে এসেছে তাঁদের ভবিষ্যত কী হবে এটা নিঃসন্দেহেই চিন্তার কারণ। কেননা তাদের বিনিয়োগের টাকা তো আর তাঁরা ফেরত পাবেননা।
বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের এই সংকটজনক পরিস্থিতির সাথে যখন আন্তর্জাতিক দ্বন্দ্ব জড়িত, তখন দেশের একটা দায়িত্ব অবশ্যই বর্তায়। সেকারনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, কেন্দ্রীয় সরকার ওঁদের শিক্ষার দায়িত্ব নিক। একইসঙ্গে নিজের রাজ্যের ভাবনাও তিনি করছেন। তিনি বলেছেন, “ইউক্রেন ফেরত বাংলার। পড়ুয়াদের জন্য কোনও টাকা চাইনা। শুধু তাঁদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করুক কেন্দ্র। কিন্তু এখনও কোনও সদুত্তর পাইনি।”