সম্প্রতি ফুল পাল্টে পুরোনো দল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। একদিকে যেমন তৃণমূলে তাঁকে ঘিরে জয়োল্লাস তেমনই উল্টোদিকে গেরুয়া শিবিরেও জমা হয়েছে চাপা বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভের কিছুটা আঁচই বাইরে প্রকাশ পেল দিলীপ ঘোষের কথায়।
প্রথমেই দিলীপ ঘোষ তাঁর মতামত জানাতে গিয়ে অর্জুন সিংয়ের প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, “উনি চাপে পড়ে চলে গিয়েছেন। ওনার একাধিক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই চলে গিয়েছেন। একজন ৩০ বছর রাজনীতি করার পর, কীভাবে ভুল বোঝাবুঝি হয়? বিজেপি লড়াই করবে। যাদের অসুবিধা রয়েছে, তারা চলে যাচ্ছেন।”
স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই ডোন্ট কেয়ার ভাব প্রকাশ পেয়েছে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে। “অনেকেই এসেছেন, অনেকেই বেরিয়ে গেছেন।” এতে যে বিজেপি শিবিরের কিছুই আসে যায়না এমনই একটা মনোভাব সামনাসামনি রাখলেও, বিজেপি যে অর্জুন সিংয়ের দলত্যাগে ক্ষুব্ধ সেটা পরের মন্তব্যে বেশ বোঝা যায়।
অর্জুন সিং কি ক্ষমতা না পাওয়ার কারণেই দলত্যাগ করলেন? এই প্রশ্নে প্রথমে বাবুল সুপ্রিয় এবং সম্প্রতি অর্জুনের দলবদল সম্পর্কে একই মতামত প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
তাঁর বক্তব্য, “কারা নেতা আছে! বিধানসভায় নেতা কে! রাজ্য কমিটিতে কারা আছে! আমরা তো মুখ্যমন্ত্রী করতে পারব না। কারণ মুখ্যমন্ত্রী করার মতো যথেষ্ট সংখ্যা নেই, না হলে মুখ্যমন্ত্রীও করে দেওয়া যেত। প্রশ্ন হচ্ছে, তিনি কী চাইছেন বোঝা যাচ্ছে না। পুরনো কর্মীরা অনেক জায়গায় বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু যারা এসেছেন, তাঁদের অনেককে সম্মান দেওয়া হয়েছে। এবার তাঁদের দায়িত্ব, যাদের সম্মান দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কিছু করে দেখানো আর সম্মানের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া।”
এতে দলের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই? পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষমতা হ্রাসের ক্ষেত্রে ‘অশনি সংকেতের’ ইঙ্গিত দেওয়ায় এক সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট বলেন, “অশনি সঙ্কেত কিছু নয়। অনেক লোক বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে এসেছিলেন৷ এখন দেখছেন যে প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলেন তা পূরণ হচ্ছে না৷ ক্ষমতার কাছাকাছি দল এলে অনেক লোক আসে৷ ক্ষমতার অলিন্দে সবাই থাকতে চায়৷ ক্ষমতার বিরুদ্ধে থাকা সবসময়ই মুশকিল।”
দিলীপের আরো সংযোজন , “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন, এটা না বললে তৃণমূলে থাকা যাবে না।”