কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা প্রসঙ্গে বরাবরই সন্দিহান তৃণমূল শিবির। এদিন আরো একবার সেই প্রসঙ্গ তুলে সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি একই তদন্তের প্রেক্ষিতে আবার তাঁকে দিল্লী তলব করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (E.D.)।
ইডির নির্দেশমতো সোমবার ইডির দপ্তরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজির হবার কথা। ঠিক তার পরের দিন হাজির হবেন তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তে একাধিকবার জেরা করা হয়েছে অভিষেককে। তা সত্বেও আবার কেন দিল্লীতে তলব? আজ বিমানবন্দর রওনা হবার পথে উচ্চকণ্ঠে সরব হয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ঠুকে দিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ বক্তব্য, “আগেও হাজিরা দিয়েছি। আগামীকালও দেব। লড়াই চলছে, চলবে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।” সস্ত্রীক দিল্লী রওনা হবার পথে অভিষেক সাংবাদিকদের জানান, “সিবিআই, ইডির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিজেপি সরকার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। আমি লড়াই করব। মাথা উঁচু করে লড়ে যাব। দরকার হলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করব।”
অভিষেক পুরোনো প্রসঙ্গ মনে করিয়ে বলেন, “এর আগেও ইডি ডেকেছিল। ৯-১০ ঘন্টা ধরে জেরা করেছিল। সমস্ত উত্তর দিয়েছি। তা সত্ত্বেও বারবার কলকাতার বদলে দিল্লীতে ডেকে হয়রান করা হচ্ছে।” দিল্লীর বদলে কলকাতায় রোজ ডাকলে তিনি রোজই হাজিরা দিতেন এমনও উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এটা জেনেবুঝেই বারবার দিল্লীতে তলব করাচ্ছে বিজেপি, স্পষ্টতই সেটা তিনি উল্লেখ করেন। তাঁর চোখের অপারেশন হয়েছে মাত্র তিনদিন আগে। তবুও তিনি ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লী যাচ্ছেন।
তাঁর দাবি, “ভোটে হেরে বিজেপির গা জ্বলছে। এটা তারই প্রতিশোধ।” পাশাপাশি অভিষেক চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানি। আগে যা বলেছি এখনও তাই বলব। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন আমি কোনওরকম টাকা নিয়েছি, তাহলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।”