রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে উর্দ্ধসীমার চরমে পৌঁছেছিল পেট্রোল ডিজেলের দাম। তথ্য বলছে, গত ৭ মার্চ অশোধিত খনিজ তেলের মূল্য উঠেছিল ব্যারেল প্রতি ১৩৯.১৩ ডলার!
গত চোদ্দো বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছিল জ্বালানির এই দাম বৃদ্ধি। সেইসঙ্গে ভারতও উদ্বিগ্ন ছিল পেট্রোল ডিজেলের বর্ধিত দামের আশঙ্কায়। তবে এবার সমাধান সূত্র দেখা দেওয়ায় অনেকটাই আশ্বস্ত হলো ভারত।
যুদ্ধপরিস্থিতিতে তেলের দামের উর্দ্ধসীমা লক্ষ্য করে ইউনাইটেড আরব আমীরশাহীর রাষ্ট্রদূত ঘোষণা করেন তাঁরা অতিরিক্ত জ্বালানি উৎপাদন করবেন। আরবের এই সিদ্ধান্তে অশোধিত তেলের দাম এক ঝটকায় ১৮ শতাংশ কমে যায়। এই খবরে ভারতও অনেকখানি স্বস্তিতে। কেননা নিজেদের ব্যবহারের প্রায় ৮০ শতাংশ অশোধিত খনিজ তেলই ভারতকে আমদানি করতে হয়।
যুদ্ধের বাজারে অশোধিত জ্বালানির প্রতি ব্যারেলের দাম ১৩৯.১৩ হলেও ভারতের খুচরো ব্যবসায়ীরা সেই অর্থে দাম বাড়াননি, যার ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিল ভারতের তেল বিক্রেতারা। এই সময়েই আরব আমীরশাহীর তেল উৎপাদনের খবর আনন্দবার্তাই বহন করে এনেছে।
আরব আমীরশাহীর রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, যত শীঘ্র সম্ভব ৮ লক্ষ ব্যারেল তেল উৎপাদন করবেন তাঁরা। ফলে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে অশোধিত খনিজ তেলের যে পরিমাণ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল, আমীরশাহীর বাড়তি উৎপাদন সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে বলেই মনে করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ইরাকও তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে।
সুতরাং আরব আমীরশাহী এবং ইরাকের তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে জ্বালানি তেলের দামের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন।