এটা শুধু অবাক করা খবর নয়, রীতিমতো অপ্রত্যাশিত। মাত্র ৫২ বছর বয়সে এক লহমায় মৃত্যু! চমকে উঠেছেন ক্রীড়াজগতের অনেকেই। তাদের মতোই বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়েছেন সুনীল গাভাসকর। নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তিনি।
এক সংবাদমাধ্যমে গাভাসকর বলেন, “এটা একটা বড় ধাক্কা। কে ভেবেছিল এত তাড়াতাড়ি তার মৃত্যু হতে পারে! আমার কাছে মেসেজ এসেছিল এই মৃত্যুর খবর সত্যি কিনা। তখন আমি ঠিক বুঝতে পারছিলামনা কী উত্তর দেবো। মাত্র ২৪ ঘন্টার তফাতে ক্রিকেট বিশ্ব দুই মহারথীকে হারালো। প্রথমে রডনি মার্শ, তারপর শেন ওয়ার্ন। এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন।”
বয়সে অনেকটাই সিনিয়র গাভাসকর। সরাসরি শেন ওয়ার্নের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে না খেললেও, কমেন্ট্রির সুবাদে ওয়ার্নকে স্টাডি করেছেন যথেষ্ট কাছ থেকে। সেই উপলব্ধিই ব্যক্ত হলো তাঁর কথায়। গাভাসকরের মতে, “লেগ স্পিন ব্যাপারটাকে শেন ওয়ার্ন শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছিলেন। আর এই বোলিং শিল্পের সাহায্যেই তিনি টেস্টে ৭০০ এবং ওয়ানডে-তে ১০০র ওপর উইকেট শিকার করেছেন। ফিঙ্গার স্পিন বা অফ স্পিন তুলনায় সহজ, এতে অনেকবেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে। কিন্তু লেগ স্পিন ভীষণ কঠিন কাজ। আর শেন ওয়ার্ন যেভাবে জাদু দেখাতেন, জাদু ডেলিভার করতেন! এই কারণেই তাঁকে সারা বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলারের মান্যতা দেওয়া হয়।”
কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন? মাঠের বাইরের যে জীবন বহু নিন্দিত, বহু চর্চিত! সেই জীবন কতটা প্রভাব ফেলেছিল? এই প্রতিভা সম্পন্ন অল্পদৈর্ঘ্যের জীবনযাপনকে ‘কিং সাইজের জীবন’ আখ্যা দিলেন গাভাসকর।
অনবদ্য ভঙ্গিতে বললেন, “শেন ওয়ার্ন জীবনকে উপভোগ করতেন সবসময়। সারাক্ষণ জিজ্ঞেস করতেন, বিকেলে কী করছ? চলো একসঙ্গে বসা যাক, কিছু খাওয়া যাক।…তিনি সবসময় কিং সাইজে নিজের জীবন যাপন করতে ভালোবাসতেন। আর হয়তো এই কারণেই তাঁর হার্ট আর চাপ সহ্য করতে পারেনি। তাই এত তাড়াতাড়ি তিনি মারা গেলেন।”