কোভিড বিধির কড়া নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী ১লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হল রাজ্যসরকারের জনহিতকর কর্মসূচি ‘দুয়ারে সরকার’। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে কার্যত ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পকেই কোভিড বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বর্ণনা করে ‘দুয়ারে সর্বনাশ!’ বলে ব্যঙ্গ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বেড়ে চলেছে কোভিডের সংক্রমণ। তৃতীয় ঢেউ এসে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতেই আজ দুপুর ৩টের পর কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সরকারি বেসরকারি অফিস ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে খোলা রাখার অনুমতি মিললেও বন্ধ করা হয়েছে স্কুল কলেজ। লোকাল ট্রেন চলাচলেও রাশ টানা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজ্যের সরকারি প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই এক সংবাদ মাধ্যমের লাইভ সাক্ষাৎকারে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, “আদৌ কোনও বিশেষজ্ঞদের মতামত মেনে এইসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কি? যদি বন্ধই করতে হয়, তবে চালু করে বিপদ বাড়ানো হল কেন?”
ইতিমধ্যেই কোভিড বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও লাইনে ভিড় বাড়িয়ে ‘দুয়ারে সরকার’ অনুষ্ঠিত করাটাকেই অনুচিত মনে করছেন বাম নেতা সুজন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের পদ্ধতির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন,”যখন মনে হল চালু করে দিলাম, আবার মনে হল বন্ধ বলে দিলাম! এই হঠকারী সিদ্ধান্ত, এটা কোন ধারার রীতি?”
এদিন নিজের তির্যক বক্তব্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’-কে সরাসরি ‘দুয়ারে সর্বনাশ!’ বলে অপমানিত করলেন সিপিএত নেতা সুজন।