এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হেনস্থার প্রতিবাদে মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। রাজনৈতিক ভাবে তিনি যে বিজেপি ঘনিষ্ঠ এটা কারুর অজানা নয়, তবে কারো কারো মতে কঙ্গনা রানাওয়াত আসলে স্বভাব প্রতিবাদী। কথায় কথায় প্রতিবাদের কারণে প্রচুর লোকের চক্ষুশূল তিনি। সেই কঙ্গনা, যিনি মোদীভক্ত হয়েও কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর নরেন্দ্র মোদীর প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখিয়েছিলেন , পাঞ্জাবের ঘটনায় সেই তিনিই আবারো গর্জে উঠলেন।
নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কঙ্গনা রানওয়াত লেখেন , “পাঞ্জাবের ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একজন নেতৃস্থানীয় প্রতিনিধি এবং ১.৪ বিলিয়ন(১৪০ কোটি) মানুষের কন্ঠস্বর। তাঁর ওপর এই ধরনের হামলা মানে দেশের প্রতিটা নাগরিকের ওপর হামলা। এটা গণতন্ত্রের ওপরও আক্রমণ।”
উল্লেখ্য, বুধবার ভাতিন্দা বিমানবন্দর থেকে পৌঁছে ফিরোজপুর যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ফিরোজপুরে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকার জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস ও বিভিন্ন কর্মসূচির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু মাঝপথেই একটি ফ্লাইওভারের তাঁর কনভয় বিক্ষোভকারীদের অবরোধে আটকে পড়ে। শেষমেশ ফেরে যেতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী। ফিরে গিয়ে তিনি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন, “কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরেছি।” যদিও এই বিক্ষোভ নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্য করে নয়, পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারের এমনটাই দাবি। তাঁরা ঘটনার দায় এড়াতে চাইছে , পাল্টা অভিযোগ তুলে কংগ্রেসকেই দায়ি করেছে বিজেপি।
আর এবার সরাসরি পাঞ্জাব প্রদেশের ওপরেই ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা। তিনি আরো বলেছেন , “পাঞ্জাব ক্রমশ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কেন্দ্র হয়ে উঠছে। অবিলম্বে না থামালে দেশের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাসেই দিল্লীতে আন্দোলনরত কৃষকদের খলিস্তানি জঙ্গি বলায় তীব্র রোষের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। যদিও সচেতন মহলের একাংশের মতে, সম্মিলিত সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কনভয় আটকে দিচ্ছে , এতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহ্যই প্রতিফলিত হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নকে কেন্দ্র করে প্রবল জাত্যাভিমান নিয়ে কঙ্গনা যে বলিষ্ঠ মন্তব্য রেখেছেন, ভারতবাসী হিসেবে তাকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই প্রশংসায় পঞ্চমুখ।