কঠিন সঙ্কল্পই মানুষকে তার উন্নত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারে। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত কেরালার অধিবাসী শ্রীনাথ। যিনি কুলিগিরি করে নিজের ও পরিবারের ভরনপোষণ চালাতেন। আজ তিনি একজন IAS অফিসার। শুধু পরিবার নয়, একটি গ্রামের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর দায়িত্বে। জীবনের ওঠাপড়ার মূহুর্তে শ্রীনাথের এই কাহিনী নিঃসন্দেহে প্রচুর মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে।
শ্রীনাথের জায়গায় যেকেউ থাকলে আগেই কঠিন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করতেন। কিন্তু শ্রীনাথ তা করেননি। কেননা শ্রীনাথের লক্ষ্য ছিল সামনের দিকে। আর এই লক্ষ্যে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে ভীষণরকম পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়। UPSC পরীক্ষা পাশ করার সিদ্ধান্ত যিনি একবার নিয়েই ফেলেছেন, তাঁকে আটকায় সাধ্য কার? কুলিগিরি করে রোজগারের পাশাপাশি চলতে থাকলো পড়াশোনা। সেটাও এক অভিনব পদ্ধতিতে!
WBCS, UPSC ইত্যাদি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশের জন্য যাঁরা লাগাতার পরিশ্রম করে চলেন তারা শ্রীনাথের পরিস্থিতি অনেকটাই আন্দাজ করতে পারবেন। শুধু তাই নয় এই ব্যক্তির সাফল্য তাঁদেরও প্রেরণা যোগাবে।
দিনরাত এক করে ফেলেছিলেন শ্রীনাথ।
কেরালার এনারকুলাম জংশনের কুলি তাঁর পরিবার, তাঁর মেয়ের ভবিষ্যত ও তাঁর গ্রামেরও উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেন। ওভারটাইম কাজ করে অতিরিক্ত রোজগারের পাশাপাশি তিনি রাত জেগে অনলাইনে পড়াশোনা করতেন। টিউটর রাখার সাধ্য তাঁর ছিলনা। অত পরিমাণে ইন্টেরনেটই বা পাবেন কোথায়? স্টেশনের ফ্রি ওয়াইফাই ছিল একমাত্র ভরসা।
এভাবেই রাত জেগে স্টেশনে বসে পড়াশোনা করে একদিন তিনি সাফল্য ছুঁয়ে ফেললেন। শ্রীনাথ আজ সরকারের ভূমিরাজস্ব বিভাগের একজন সুদক্ষ অফিসার হয়ে কাজ করছেন। বছরের পর বছর যারা পাব্লিক সার্ভিসের কঠিন পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন, শ্রীনাথ তাঁদের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন।