রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দিকেই এইমূহুর্তে তাকিয়ে সারা বিশ্ব। ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহর ইতিমধ্যেই রাশিয়ার দখলে। যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনের মাথায় রাশিয়া ভ্যাকুয়াম বোমা প্রয়োগ করেছে বলে জানা গিয়েছে। যে বোমা অন্যান্য বিস্ফোরণকারী বোমার চেয়েও কয়েকগুণ অতিরিক্ত বিধ্বংসী। ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত এবং মানবাধিকার সংগঠন থেকে দাবি তোলা হয়, সম্পূর্ণ অমানবিক আচরণ থেকে এই বোমা প্রয়োগ করেছে রাশিয়া। কী এই ভ্যাকুয়াম বোমা?
ভ্যাকুয়াম বোমার আরেকটি নাম অ্যারোসল বোমা। একে থারমোব্যারিক বোমাও বলা হয়। জ্বালানি তেলের ব্যারেল ও বিস্ফোরক চার্জারের সহযোগে বানানা এই বোমা একবার কোনও অঞ্চলে ফেললে প্রাথমিক বিস্ফোরণে আগুনের গোলাকৃতি চেহারা নিয়ে এটি বাতাসে ছড়ায়, জ্বালানি তেল থাকায় অনেকগুলি ভাগে বিভক্ত হয়ে আবারো বিস্ফোরণ ঘটায়। নিক্ষেপের স্থল থেকে আশেপাশের বিস্তারিত বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে জ্বালানি তেল যা মূহুর্তে সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয়।
উপরন্তু তৈরি হয় সাংঘাতিক চাপ এবং তাপ, যার সংস্পর্শে এলে যেকোনো বস্তু পলকে বাষ্প হয়ে যায়। এই বোমার তেজস্ক্রিয়তায় বিপজ্জনক শক ওয়েভ তৈরি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে যার ধাক্কায় ফুসফুস এবং শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরমার হয়ে যায়!
ইউক্রেনের সুমি অঞ্চলে তেল শোধনাগার ধ্বংসে এই বোমা ব্যবহার করেছে রাশিয়া। এমনটাই দাবি উঠেছে। যদিও এর সপক্ষে প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।
তবে সূত্র অনুযায়ী, এর আগে ২০০০ সালে চেচনিয়াতে এই ভ্যাকুয়াম বোমা প্রয়োগ করেছিল রাশিয়া। তাছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের গুহায় লুকোনো আল কায়দা জঙ্গী সংগঠন দমনে অতীতে এই বোমার ব্যবহার করেছে।