অনাস্থা প্রস্তাবে নির্বাচনের আগে বক্তৃতায় নিজের সপক্ষে বলতে গিয়ে তাঁকে ইচ্ছাকৃতই সরানোর পরিকল্পনার উল্লেখ করে বিদেশি শক্তিগুলিকে কটাক্ষ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। স্বদেশ পাকিস্তানে বিরোধী পক্ষের ঘোড়া বেচাকেনা সহ দুুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ইমরান বলেন, “আমি পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরেছি, কিন্তু কোথাও এমন খোলামেলা দুর্নীতি দেখিনি।” পাশাপাশি ভারত সম্পর্কেও প্রশংসাসূচক বাক্য শোনা যায় তাঁর মুখে।
নমনীয় প্রধানমন্ত্রী না হলে বিদেশি শক্তিগুলির অসুবিধা, আর সেইজন্যেই তাঁকে সরানোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে, এই উল্লেখ করেই ইমরান খান বলেছেন, “আমরা ২২ কোটি মানুষ। এই ২২ কোটি মানুষকে বাইরে থেকে কেউ নির্দেশ দিচ্ছে এটা অপমানজনক।” এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই ভারতের তুলনা টেনে প্রশংসা করতে গিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোনও বড় শক্তি ভারতকে নির্দেশ দিতে পারেনা।”
চারদিন আগেই ভারতের সাথে পুরোনো বিবাদ মিটিয়ে শান্তিপ্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছিলেন, “ভারতের সাথে সমস্ত বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে মিটিয়ে নেওয়া উচিত এমনটাই মনে করছে ইসলামাবাদ।”
এমনকি কাশ্মীর সম্পর্কেও আলোচনা করার আবেদন জানিয়েছেন ইমরান খান। বিশ্বের বিভিন্ন শক্তিশালী দেশগুলি যখন যুদ্ধে লিপ্ত, সেই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের এই প্রস্তাবকে বেশ অর্থবহ মনে করা হচ্ছে। এদিন আরো একবার ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করে ইমরান খান সেই আশার আলোকে আরো একবার উস্কে দিলেন।
ইমরান খান নিজের সম্পর্কে ষড়যন্ত্রের আভাস দিয়ে আরো বলেন, “আমেরিকার কূটনীতিকরা আমাদের লোকেদের সাথে দেখা করেন, তারপরে আমরা সমস্ত তথ্য জানতে পেরেছি। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এখনই কিছু প্রকাশ্যে বলতে চাইনা।”
ইমরান সরকারের পতন রোধ করা অসম্ভব বলেই মেনে নিয়েছেন ইমরান খান। পাশাপাশি আগত নতুন সরকারকে ‘আমদানি করা সরকার’ বলে উল্লেখ করেছেন।