দিনকয়েক আগে রাজ চক্রবর্তী ও তাঁর ছোট্ট ছেলে ইউভানের সাথে শুভশ্রীর একটি ছবি নেটমাধ্যমে তুমুল ভাইরাল হয়।
বিষয়টি সাধারণ, কিন্তু সমালোচনার সীমা অতিক্রম করে তাকে নিন্দনীয় করে তোলেন নেটিজেনদের একাংশ। ছবিটিতে রাজের স্ত্রী অভিনেত্রী শুভশ্রীর মাথায় ইসলামিক রীতির ধরণে ওড়না ছিল, আর রাজ চক্রবর্তী ও তাঁদের ছোট্ট ছেলে ইউভানের মাথায় ছিল ফেজটুপি। ব্যস! এই ছবি দেখেই খেপে ওঠেন নিন্দুক নেটিজেনরা।
বোঝাই যাচ্ছে কেন এত নিন্দা সমালোচনা! হিন্দু হয়েও কেন ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পোশাক ধারণ! এই ছিল নিন্দামুখর নেটিজেনদের কটাক্ষের কারণ। কুৎসা এমনই জোরালো পর্যায়ে পৌঁছয় যে, ছোট্ট ছেলে ইউভানকেও বিচ্ছিরি ভাষায় সমালোচনা করা হয়। সহ্য করতে না পেরেই নিন্দুকদের যোগ্য জবাব দিতে বাধ্য হন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।
আসলে তাঁরা সপরিবারে আজমির শরিফ দরগায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। এসব তীর্থস্থান বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যেমন হয়, সেখানকার ধর্মীয় রীতির নিয়ম মেনেই ভেতরে প্রবেশ করতে হয়, রাজ-শুভশ্রী তাঁদের ছোট্ট সন্তানকে নিয়ে সেটাই করেছিলেন, এবং সেটা তাঁরা অন্য ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রেও করেই থাকেন।
সকলেই জানেন, গুরুদ্বারে গেলে মাথায় ফেট্টি দিয়ে বা নিদেনপক্ষে একটি রুমাল দিয়ে মাথা ঢেকেই ভেতরে প্রবেশের নিয়ম। রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন তাঁরা এভাবেই সমস্ত জায়গায় বেড়াতে গেলে সেখানকার ধর্মীয় রীতি রেওয়াজ স্বেচ্ছায় পালন করে থাকেন। প্রথমে অবশ্য নিন্দুকদের পাত্তা দেননি টলিউডের ব্যস্ততম পরিচালক। শেষপর্যন্ত কটুক্তি যখন ইউভানের দিকেও ছুটে আসে, তখন উত্তর দিতে বাধ্য হন।
রাজ চক্রবর্তী স্পষ্টতই বলেছেন, “মানুষের চিন্তাভাবনা সংস্কৃতির এতটা অধঃপতন হয়েছে দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। ওরা ইউভানকে পর্যন্ত ছাড়ছেনা!” রাজ আরো জানান, “একজন বাঙালি হিসেবে আমি সব ধর্মে বিশ্বাসী। আপনারাও কেউ এধরণের ঘৃণাকে প্রশ্রয় দেবেননা।” রাজ চক্রবর্তীর মতে, “এইধরনের মিম যারা বানায় তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। নাহলে একটা ছোট্ট বাচ্চাকে তারা নিন্দায় জড়াতেননা।” এরপর খানিকটা বেপরোয়া ভঙ্গিতেই রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার এভাবেই চলবেন, কে কী বলল তাতে কিচ্ছু এসে যায়না।