জ্ঞানবাপী মসজিদে উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলাকালীন আরেকটি চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। AIMIM দলের শীর্ষনেতা দাবি তোলেন মন্দিরে যেটা উদ্ধার হয়েছে তা আসলে একটি ফোয়ারা!
শনিবার থেকে টানা তিনদিন ধরে আইনজীবিরা মসজিদের অভ্যন্তরে তত্ত্বতালাশ চালিয়েছিলেন। আইনজীবিদের উপস্থিতিতে মসজিদে ভিডিওশ্যুট করা হয়। এই ভিডিওচিত্রকে প্রমাণস্বরূপ দাখিল করে আইনজীবি বিষ্ণুশঙ্কর জৈন দাবি করেন জ্ঞানবাপী মসজিদের জলাশয়ের নিচে একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে।
সোমবার সমীক্ষা শেষ দিনেই কোর্ট কমিশন এই দাবি তোলে। যার ফলে অবিলম্বে জলাশয় চত্বরটিকে সিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আইনজীবি হরিশঙ্কর জৈন এবং তাঁর পুত্র আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈনের উপস্থিতিতে কার্য সমাধা হয়। বিতর্কিত জলাশেয়ের আশেপাশে যেন সাধারণ মানুষজন ঢুকতে না পারে সেজন্য CRPF বসিয়ে কড়া পাহারা মোতায়েন করা হয়।
ওই জলাশয়ের জল দিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা ওজু করতেন, অপরদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে হিন্দু ধর্মীয় স্থানের চিহ্ন মিলেছে। সুতরাং উভয়পক্ষের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে দুই ধর্মের স্থানকেই পৃথকভাবে সংরক্ষণের কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় ও ডিভিশন বেঞ্চ।
এই পরিস্থিতিতেই আচমকা পাল্টা বিতর্ক তৈরি হয়, যখন আসাদউদ্দিন ওয়েসি দাবি তোলেন –শিবলিঙ্গ নয়, যা উদ্ধার হয়েছে সেটি একটি ফোয়ারা। তিনি জলাশয় চত্বর সিল করার বিরুদ্ধেও সোচ্চার হন।
ওয়েইসির মতে ‘কোর্টের এই নির্দেশ ১৯৯১ সালের আইনি ধারার পরিপন্থী। যেখানে বলা হয়েছিল ১৯৪৭ সালের আগে বা পরে তৈরি কোনও ধর্মীয় স্থানের চরিত্র বদল করা যাবে না।’ বাবরি মসজিদের উল্লেখ করে আসাদউদ্দিন ওয়েসি বলেন, ‘মুসলিমরা আর কোনো মসজিদ হারাতে চাননা।’ ওয়েসির এই দাবি বিতর্ক আরো জোরালো করে তুলেছে।