অনুব্রত মন্ডলকে উপলক্ষ্য করে তৃণমূলকে প্রায় হাতে কাটছে বিজেপি। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন এক বিজেপি নেতা অনুব্রতর প্রাণ সংশয় নিয়ে নির্মম রসিকতা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, অনুব্রতকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি যেতে দেওয়া হবেনা, গেলে নাকি সম্পর্কে প্রচুর গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে!
এভাবে কার্যত প্রমাণ ছাড়াই তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি নেতার দাবি ছিল, অনুব্রতর ভবিতব্য হল –মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া বিষ ইঞ্জেকশনে উডবার্ন ওয়ার্ডে মৃত্যু! যদিও বাস্তবে তা হয়নি। এবার সেই একই সুরে ধুয়ো তুললেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ অনুব্রতর দিকে ইঙ্গিত করেন,”জেলেই ওঁর জন্য নিরাপদ জায়গা। সুযোগ থাকলেই তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।”
তবে কি জেলের বাইরে তিনি নিরাপদ নন? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু সরাসরিই বলেন, “হয়তো উনি অনেককিছু জানেন। হয়তো জানেন বলেই ওঁকে সিবিআইয়ের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। হয়তো অনেক বড় নেতার পর্দা ফাঁস করে দেবেন উনি।”
অনুব্রত মন্ডলের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ পরামর্শ দেন, “সিবিআই এড়াবেননা। জেলে গিয়ে ঢুকে পড়ুন। বাইরে থাকলেই মেরে দেবে!”
যদিও দিলীপের এইধরণের মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, “দিলীপ ঘোষের কথার কোনও অর্থ নেই। প্রতিদিন খবরে থাকার জন্য ওঁকে এমন বলতে হয়। কিন্তু এধরণের কথা ওঁর মুখে মানায়না।”
সম্প্রতি এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত। আগামী ১ মাস তাঁকে সম্পূর্ণ বেডরেস্টে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। যদিও চিকিৎসকের দেওয়া সেই রক্ষাকবচ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও কাজে লাগেনি। হাসপাতাল থেকে ছুটির পরের দিনই তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। আদালতে এই জেরা এড়ানোর জন্য আবেদন করলেও তা খারিজ হয়ে যায়। তারই মধ্যে সিবিআইয়ের কাছে অনুব্রতর যাওয়া নিয়ে কটাক্ষপূর্ণ রসিকতায়ই মেতেছে গেরুয়া শিবির।