মহারাষ্ট্রে লাউড স্পিকার বিতর্কের ধুয়ো তুলেছিলেন। স্পষ্ট হুমকি দিয়েছিলেন, মসজিদগুলো থেকে লাউডস্পিকার সরিয়ে ফেলতে হবে। সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন ৩-রা মে অর্থাৎ ইদের আগে পর্যন্ত। “তারপর কিছু ঘটলে আমাকে কেউ দোষারোপ করবেননা!” এই ছিল তাঁর স্বঘোষিত পরোয়ানা। আর সেই রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করল মহারাষ্ট্র সরকার।
মহারাষ্ট্রের নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে গত এপ্রিল মাস থেকেই মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়ার বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে সরব হয়ে উঠেছিলেন। হুমকি দেওয়া হচ্ছিল,” মসজিদে লাউডস্পিকার বাজলে, হিন্দু মন্দিরেও স্পিকার লাগিয়ে হনুমান চালিশা বাজানো হবে।” এরপরে ইদের আগেই প্রবল বিদ্বেষসূচক মন্তব্য করে একরকম হুঁশিয়ারি জারি করেন রাজ ঠাকরে। কিন্তু সম্ভবত তিনি আন্দাজ পাননি, উত্তপ্ত বক্তৃতা ঝাড়বার সময়ে তাঁর বিরুদ্ধেও শমন তৈরি হচ্ছে।
ধর্মীয় বিভেদের ইন্ধন দেওয়ার কারণে রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারির পরোয়ানা পাঠায় মহারাষ্ট্রের এক আদালত। ইদের আগে হুমকি দেওয়ার কারণে সজাগ হয়ে ওঠে মহারাষ্ট্রের প্রশাসন। আইনি নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি তদারক করতে নেমে পড়েন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল এবং মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রধান রজনীশ শেঠ। রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে ঔরঙ্গাবাদের পুলিশ কমিশনারকেও বিশেষভাবে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগেও রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানির জন্য মামলা রুজু করা হয়েছিল। যদিও ফাঁক গলে অব্যাহতি পেয়েছিলেন নবনির্মাণ সেনার নেতা। ২০০৮ সালের ওই মামলাটি সাম্প্রতিক ঘটনায় উত্থাপিত হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিচারবিভাগ রাজ ঠাকরেকে নিজের উপযুক্ত সীমা বুঝিয়ে দিতে উদ্যত হয়েছে।