পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গিয়ে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইয়ের মগজ ধোলাইয়ের শিকার হচ্ছেন কাশ্মীরের ভারতীয় তরুণরা। মেডিকেল অথবা অন্যান্য উচ্চতর ডিগ্রী লাভের জন্য কাশ্মীর থেকে পড়ুয়াদের পাকিস্তানে যেতেই হয়। আর তাদেরকেই রীতিমতো ছক কষে টার্গেট করছে আইএসআই। এর জন্য কখনো তাদের প্রলোভন, কখনো মেডিকেলের সিট বিক্রী, কখনো আবার ‘জেহাদ’ সংক্রান্ত তত্ত্বের প্রতি আকর্ষণ করে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় গোয়েন্দারা সেই তথ্যই পেশ করেছেন।
ভারতে নানা উপায়ে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্য একাধিক নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করছে আইএসআই। বিশেষত কাশ্মীর থেকে পড়তে আসা ভারতীয় পড়ুয়াদের নানা কৌশলে সংগঠনে টানবার চেষ্টা চলেছে– ভারতীয় গোয়েন্দারা তার প্রমাণ পেয়েছেন। গোয়েন্দারা এমন ১৭ জন যুবকের সন্ধান পান, যাঁরা পাকিস্তানে পড়াশোনা করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী হয়ে দেশে ফেরেন। এই ১৭ জনকে এনকাউন্টার করে প্রাণ নিয়েছে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী।
তাদের পরিচয় সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই তথ্যগুলি বেরিয়ে আসে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে স্থির ছিলেন। প্রত্যেকের কাছেই বৈধ ভিসা ছিল। পরিকল্পিতভাবেই এঁদের লক্ষ্যভ্রষ্ট করে বিপথে চালিত করা হয়েছে। সম্প্রতি UGC এবং AICT-র এক যৌথ বিবৃতি থেকে জানা যায়, “যদি কোনও ভারতীয় নাগরিক বা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিক পাকিস্তান থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিয়ে আসেন, তাহলে তাঁরা সেই সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ভারতে উচ্চশিক্ষা বা চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেননা!”
এই বক্তব্যটিকে ব্যবহার করেই সুশিক্ষিত, উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে আইএসআই। কেননা এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই তরুণদের বোঝাবার চেষ্টা করা হয় যোগ্যতা থাকতেও তাঁরা ভারতের দ্বারা বঞ্চনার শিকার হবেন। তাহলে তাঁদের অবশ্যকরণীয় কী? ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদ! এভাবেই কাশ্মীরের ভারতীয় তরুণ শিক্ষার্থীরা জঙ্গি সংগঠনের দিকে পা বাড়ান –গোয়েন্দা দপ্তরের এমনটাই অনুমান।