অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করে এর আগেই বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তিনি কারুর নেতৃত্ব স্বীকার করেননা, সরাসরিই বলেছিলেন। আর এবার গঙ্গাসাগর প্রসঙ্গে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় মেতে উঠলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ।
কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে শহরে যখন আংশিক লকডাউনের হাওয়া উঠেছে এবং গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধের জন্য দাবি তুলেছিল বিরোধীরা, সেই কঠিন পরিস্থিতিতেও অনমনীয় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ট্যুইট করেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলা আটকানোর জন্য বিভিন্ন মহল থেকেই চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেই কীভাবে গঙ্গাসাগর আয়োজন করা যায়।”
তারপরেই আরো একটি ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যপালকে মেনশন করে কল্যাণ লিখেছেন , “আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যা করে দেখিয়েছেন তার জন্য প্রত্যেকেরই কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন , “রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্য থেকে অসংখ্য পূণ্যার্থী এই গঙ্গাসাগরে আসেন। ইতিমধ্যে অনেকে এসেও পড়েছেন। মেলার প্রস্তুতিতে প্রচুর টাকা খরচ করে রাজ্যসরকার। তাই কোনওভাবেই মেলা বন্ধ করা সম্ভব নয়।” শেষপর্যন্ত এর সপক্ষেই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কৃতিত্বই জোর গলায় তুলে ধরলেন তাঁর অনুগামী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, ‘ডায়মন্ডহারবার মডেল’ প্রসঙ্গে এই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেই তৃণমূল নেতৃত্বের টক্কর লেগে গিয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেই কল্যাণ বলেছিলেন, “দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথই আমার পথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমার নেত্রী। আর কাউকে নেতা বলে মানিনা।”