উত্তরপ্রদেশের এক মন্দির থেকে মূর্তি চুরির ঘটনা, তার থেকেও অত্যাশ্চর্য ঘটনা ঘটল চুরি করা মূর্তি চোর এসে ফিরিয়ে দেবার পর। সম্প্রতি এই অভাবনীয় ঘটনা উত্তরপ্রদেশের হাওয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মে মাসের গোড়ায় উত্তরপ্রদেশে চিত্রকূটের বালাজি মন্দির থেকে ১৬টি অষ্টধাতুর মূর্তি এবং প্রায় কোটি টাকা মূল্যের গয়নাগাটি ও সামগ্রী চুরি যায়। মন্দিরের মহান্ত রামবালক গত ৯ মে থানায় এফআইআর লিখিয়েছিলেন।
মোহান্তের অভিযোগ অনুসারে, ‘চোরেরা রাত্তিরে মন্দিরের তালা ভেঙে ভগবান শ্রী রামের ৫ কেজির মূর্তি, পিতলের রাধাকৃষ্ণ মূর্তি , বালাজির মূর্তি এবং লাড্ডু গোপালের মূর্তি সহ পিতল, তামা, অষ্টধাতুর মোট ১৬টি মূর্তি চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। তার সাথে নগদ টাকা ও পুজোর রূপোর জিনিস সহ ঠাকুরের লক্ষাধিক টাকার অলঙ্কারও চুরি গিয়েছে।’
চোরের খোঁজে তদন্ত চলছিল। তার মধ্যেই ঘটে যায় এক অভাবনীয় ঘটনা!চোরেরা নিজে থেকেই ফিরিয়ে দিয়ে যায় চুরি হয়ে যাওয়া ভগবানের মূর্তিগুলি। পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, ‘রবিবার মোহান্ত রামবালকের বাড়ির কাছে কেউ বা কারা একটি বস্তা ফেলে গেছে বলে খবর। তার মধ্যেেই চুরি যাওয়া ১৬টি মূর্তির মধ্যে ১৪টি মূর্তি রাখা ছিল। ওই বস্তার ভিতর থেকে মূর্তিগুলির সাথে একটি চিঠিও পাওয়া গিয়েছে।’ চিঠিতেই চোরেরা তাদের মূর্তি ফেরানোর কারণ সম্পর্কে লিখে গিয়েছে বলে খবর।
চিঠির বয়ান পড়ে তাজ্জব বনে যেতে হয়। চোরেরা লিখছে, মূর্তিগুলি চুরি করার পর থেকে তাদের জীবন থেকে শান্তি চলে গিয়েছে। রামে ঘুমোতে গিয়ে ভয়ঙ্কর সব স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। দুচোখের পাতা এক করলেই গ্রাস করছে ভয়! এই কারণেই মন্দিরের চুরি করা মূর্তিগুলি চোরেরা ফিরিয়ে দিয়ে যায়।
এই মূর্তিগুলো এবং চিঠির সূত্র ধরে চোরেদের সন্ধান চালানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।