১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিতর্ক মিটছেনা। একদিকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেছে রাজ্য। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ১০০দিনের কাজের নামে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এমনই যখন চাপানউতোর দশা, ঠিক তখনই ১০০দিনের কাজের প্রকল্পে একটি নতুন নিয়ম বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্রীয় সরকার।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা আদায়ের দাবিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ঠিক পরেই মমতার চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, এমনকি ভূয়ো জবকার্ড তৈরি করে টাকা আদায়ের মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উক্ত দুই চিঠির মধ্যে কোনটিকে বেশি গুরুত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, সেটা আর বলে দিতে হয়না। চিঠি চালাচালির ঠিক পরেই ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি কার্যকর করতে নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এটা কি নিছকই কাকতালীয়! নাকি চিঠির প্রভাব রয়েছে? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
যদিও প্রশাসনিক মহল এই নতুন নিয়মে কোনও রাজনৈতিক গন্ধ খুঁজতে বারণ করছে। এই পদ্ধতি নির্দিষ্ট সমীক্ষারই অঙ্গ বলে বিবেচনা করছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কাজে যোগ দেওয়ার সময়ে কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট অ্যাপে বায়োমেট্রিক হাজিরা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্পে কতজন রোজ কাজ করছেন সেটা ট্র্যাক করতে সুবিধা হবে।
এই অ্যাপটি হল –‘ন্যাশনাল মোবাইল মনিটারিং সিস্টেম’। এখন থেকে খাতায় সইয়ের বদলে এই অ্যাপের মাধ্যমেই শ্রমিকদের হাজিরা দিতে হবে। সোমবার নির্দেশ পাওয়ার পরেই বিডিও অফিসগুলো এই পদ্ধতিতে হাজিরা চালু করার দিকে অগ্রসর হয়েছে বলেই খবরে প্রকাশ।