কোভিড বিধি চলাকালীন বিয়ে। তাই নিমন্ত্রিতের সংখ্যায় নিয়ন্ত্রণ। যদিও সরকারি নিয়মে কিছুটা শিথিলতা এনে মেরেকেটে ২০০জনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে নিমন্ত্রিতদের তালিকা যে দ্বিগুণ! প্রায় ৪০০জন। কাকে রাখবেন, কাকেই বা ছাঁটবেন? তাই একেবারেই ভিন্নপথে হাঁটলেন বর্ধমানের বিয়ে করতে চলা কাপল সন্দীপন ও অদিতি। নেটদুনিয়ায় যাঁদের আলোচনা শোরগোল তুলে দিয়েছে।
পাত্রী অদিতি দাস, পাত্র সন্দীপন সরকার। জানিয়েছেন, ৪০০ জন নিমন্ত্রিতই তাঁদের বিয়েতে অংশ নেবেন, তবে অনলাইনে, গুগুল মিটের মাধ্যমে। আর খাওয়া দাওয়া? কী ভাবছেন, লাইভ বিয়ের অনুষ্ঠান দেখিয়ে শুকনো মুখে ফাঁকি?
মোটেই তা নয়। প্রত্যেক নিমন্ত্রিতের বাড়িতে পৌঁছে যাবে বিয়ের ভোজ, অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে। ইতিমধ্যে তার বুকিংও কমপ্লিট। ২৪ জানুয়ারি বিয়ে, এখন শুধু (কার্ডের বদলে লিঙ্ক আর পাসওয়ার্ড পাওয়ার অপেক্ষা।
কীকরে এল এই ভাবনা?
পূর্ব বর্ধমানের পাল্লা রোডের অধিবাসী সন্দীপন সরকার বলেছেন, “কোভিড আক্রান্ত হয়ে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তখনই ভাবতে শুরু করি, বড় জমায়েত ছাড়া কীভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। যাতে আত্মীয় বন্ধুবান্ধবরা অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে উপস্থিত না হয়েও বিয়েতে অংশ নিতে পারেন। তখনই এই ভাবনা মাথায় আসে।”
সন্দীপন ও অদিতি জানান, ১০০ জনের মতো লোকজন সরাসরি বিয়েতে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া ৩০০ জনই অনলাইনে উপস্থিত থাকবেন লাইভ সম্প্রচারে। বিয়ের আগের দিন যথাসময়ে সকলের কাছে লিঙ্ক-পাসওয়ার্ড চলে যাবে।
ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী সন্দীপন সরকার, পাত্রী অদিতি দাসও আইটি সেক্টরে চাকরি করেন। তাঁদের এই অভিনব বৈবাহিক আয়োজনে ফুট পার্টনার অনলাইন অ্যাপ জোম্যাটোর স্থানীয় শাখার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,”এই উদ্যোগ আমাদের রীতিমতো উৎসাহিত করেছে। প্রস্তাবটি আসার পর আমরা উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানাই। তাঁরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান।”
অনলাইন ফুড অ্যাপের তরফ থেকে এই বিশেষ বিবাহে খাবার সরবরাহের জন্য আলাদা একটা টিম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, করোনাকালে এই উদ্যোগকে তাঁরা ক্রেতা আকর্ষণের জন্যেও ব্যাপকভাবে প্রচার করতেও চাইছেন।