এইমূহুর্তে ভারতের কর্ণাটক হিজাব-বিতর্ক বহুচর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। হিজাব বা বোরখা পরা নিয়ে আপত্তি শুধু নয়, ইচ্ছাকৃত রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা যে যেখানে যেমন পারছেন মন্তব্য করে বসেছেন। যেমন সদ্যই কংগ্রেসের এক বিধায়ক জমির আহমেদের বক্তব্য , “হিজাব মানে পর্দা। হিজাব না পরার জন্যই ভারতে ধর্ষণের হার বেড়ে গিয়েছে”(!!!)
এইসব আলটপকা মন্তব্য আরো বেশি করে উস্কে দিচ্ছে বিচ্ছেদকামী শক্তিগুলিকে। সম্প্রতি এক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকে পরিচালিত প্রচুর ভূয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কার্যত এই হিজাব বিতর্ককে ঘিরে নানা উস্কানিমূলক এবং ভারতের বদনাম করে বিভিন্ন বক্তব্য ছড়িয়ে দিচ্ছে তারা।
‘ডিজিটাল ফরেনসিকস রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিকস সেন্টার’ নামক একটি ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে, সোশ্যাল মাধ্যমে কয়েক হাজার ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়েছে যেগুলি হিজাব বিতর্ক এবং হ্যাশট্যাগ #Muskan দিয়ে ভারত সম্পর্কে ভূয়ো প্রচার চালাচ্ছে। এমনকি এইসব পোস্টে জানানো হচ্ছে ‘হিজাব পরাকে সমর্থনের জন্য তালিবানদের সমর্থন করছে ভারত!’ কিছু পোস্টে মহম্মদ আলি জিন্নাহ-র সূত্র তুলে ভূয়ো বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে যা ভারতের পক্ষে দুর্নাম বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে।
মাসখানেক আগে কর্ণাটকের উদুপির কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা-র বিপক্ষে ‘হিন্দু মৌলবাদী’রা অশান্তি সৃষ্টি করে যার জেরে মামলা সুপ্রিম কোর্ট অবধি পৌঁছে যায়। এরপর মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটিতে বোরখা পরা এক তরুনীকে জোর করে কলেজে ঢুকতে বাধা দেয় হিন্দুত্ববাদী ছাত্ররা, যার তীব্র প্রতিবাদ জানায় তরুণী মুসকান। এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে একাধিক বিতর্কের সূত্রপাত করেছে।
এবার ভারতের এই অভ্যন্তরীণ বিবাদের মধ্যে বহিঃশক্তির ইন্ধনের সম্ভাবনা তৈরি করল হিজাব বিতর্ক। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যার ফলে ভারতের দুর্নাম ছড়াতে সচেষ্ট হচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই মদতপুষ্ট মৌলবাদী শক্তি। সাম্প্রতিক রিপোর্টে সেই তথ্যই উঠে এসেছে।