পাকিস্তানকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে বলছেন আমেরিকার গণতন্ত্র সমর্থকরা। ‘সাউথ এশিয়ানস এগেইনস্ট টেররিজম অ্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস’ (SATH) আয়োজিত একটি অনলাইন সম্মেলনে গণতন্ত্রবাদীরা যৌথভাবে বলেছেন — পাকিস্তানের নব্য নিযুক্ত সরকারের কাছে সমস্ত জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাতের অবসান এবং ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে আরো ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে, গণতান্ত্রিক কর্মসূচির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দাবি — আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে ভারত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক সুস্থ ও উন্নত করতে হবে। ‘সাউথ এশিয়ানস এগেইনস্ট টেররিজম অ্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস’ (SATH)-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হোসেন হাক্কানি বলেছেন, “রাজনীতির সামরিকীকরণ এবং রাজনোতিতে ধর্মকে ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। তা নাহলে পাকিস্তানের পক্ষে সমকালীন সংকট থেকে বেরিয়ে আসা মুশকিল হবে।”
পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হাক্কানি আরো বলেন, “কোনো অকার্যকারী আদর্শের দিকে মনোযোগ দেওয়ার বদলে পাকিস্তানের উচিত সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে তার জনগণের সমৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া ।”
এই অনলাইন আন্তর্জাতিক বৈঠকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাবর বলেন, “যখন একটি গোষ্ঠী অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন করে ফেলে, তখন নিজেদের মধ্যেই লড়াই শুরু হয়।” একই সাথে সাবেক এমপি আফরাসিয়াব খট্টক ‘জেনারেল শাহী’ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটাই ইমরান খানকে ক্ষমতায় এনেছিল।” অপরদিকে সিন্ধু ইউনাইটেড পার্টির কর্মী কিয়া বালুচ ও জয়ন শাহ উভয়েই বেলুচিস্তান এবং সিন্ধি জাতীয়তাবাদীদের উদ্দেশ্যে সামরিক অভিযান বন্ধ করার উপর জোর দিয়েছেন।
‘সাউথ এশিয়ানস এগেইনস্ট টেররিজম অ্যান্ড ফর হিউম্যান রাইটস’ (SATH) আয়োজিত এই অনলাইন বৈঠকে বক্তাদের তরফ থেকে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের প্রতি দায়বদ্ধতার কথাই বেশি করে আলোচিত হয়। প্রায় সকলেই একমত হয়ে বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের পর নবগঠিত পাকিস্তান সরকারকে ‘সহিংসতা’ শেষ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।