স্বামী বিবেকানন্দের ১৬০ তম জন্মজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। তবে এবারেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যবিহীন নিরঙ্কুশভাবে পালিত হলনা স্বামীজির জন্মতিথি। তিনদলের তিনমুখী দ্বন্দ্বে ‘স্বামীজি’ জড়িত হয়ে গেলেন।
বিজেপি নিযুক্ত ‘বিবেক বাহিনীর’ আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “ব্যবসা করছে বিজেপি।”
অপরপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি উভয় দলকেই কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা সুুজন চক্রবর্তী। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “স্বামী বিবেকানন্দের মতো একজন মনীষীকে নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল উভয় দলই রাজনীতি করছে। বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীর শুভেচ্ছার সঙ্গে থাকছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আর বিবেক জাগিয়ে বিবেক বাহিনী তৈরি করতে চাইছে বিজেপি।”
সোশ্যাল মাধ্যমে আলিপুরদুয়ারে স্বামী বিবেকানন্দের হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “এসব করে ওঁরা আসলে বিবেকানন্দকে নয় নিজেদের অসম্মান করছে। বাংলার মনীষীদের অপমান করছে। বাংলার সংস্কৃতিকে অপমান করছে।”
যে স্বামী বিবেকানন্দ রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে থাকতেন, বর্তমানে এভাবেই তিনি রাজনৈতিক কূটকচালিতে যুক্ত হয়ে গেলেন। তবে যেটা বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর দৃষ্টি এড়িয়েছে, সেটা উল্লেখ করার মতো।
স্বামী বিবেকানন্দর জন্মদিনে ডায়মন্ডহারবারে অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এইদিনটিকে সামনে রেখে ফলতা, বজবজ, সাতগাছিয়া প্রভৃতি জায়গায় সারাদিন ব্যাপী ৩০ হাজার মানুষের কোভিড টেস্টের কর্মসূচি নেওয়া হয়। এছাড়াও ডায়মন্ডহারবারের ব্লকে ব্লকে জনসাধারণকে মাস্ক বিলি ও অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রও খোলা হয় বলে খবরসূত্রে জানা গিয়েছে।