উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন এসে গিয়েছে।ভোটের আবহেই চায়ের দোকান রমরমা। প্রবীণতম ঐতিহাসিক শহর বেনারসের চায়ের দোকানগুলিতে সাজ সাজ রব। নেতামন্ত্রী রাজনৈতিক কর্মীরা দোকানে যতই ভিড় জমাবেন ততই বিক্রী বাড়বে চায়ের দোকানের। চা-দোকানিরা তাই বেজায় খুশি। তবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এসে হাজির হবেন! এতটা আশা করেনি সাধারণ চা বিক্রেতা পাপ্পু।
গত শুক্রবার শেষদফার প্রচারলগ্নে গুরুদায়িত্ব সেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চায়ের জন্য উৎসুক হয়ে উঠলেন। না কোনও জমকালো টিস্টল নয়, এক অতি সাধারণ চায়ের দোকানে চা খেতে সপারিষদ হাজির হলেন নরেন্দ্র মোদী।
আসসি অঞ্চলে ছোটোখাটো দোকানটির মালিক পাপ্পু। দোকানের নাম ‘পাপ্পু কি এরি’। এই চায়ের দোকানে মোদীজির অপেক্ষায় ছিলেন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ভারপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর সাথেই দোকানে ঢুকে বসে পড়লেন নরেন্দ্র মোদী। পাপ্পুর মুখ দিয়ে তখন বাক্যি সরছেনা। দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসেছেন তার দোকানে! তৎপর হয়ে পাপ্পু, জিজ্ঞেস করে প্রধানমন্ত্রী কীধরনের চা খেতে পছন্দ করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী উদাত্ত গলায় বলেন, “ওয়হিঁ বেনারস কি কুলহাড় চায়ে, যো রোজ সবকো পিলাতের হো!”
কুলহাড় মানে ভাঁড়। পাপ্পুর চায়ের দোকানের সেই মূহুর্ত ছবিতে ধরা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী চায়ের ভাঁড় এগিয়ে ধরেছেন, চাওয়ালা পাপ্পু চা ঢালছে কেটলি থেকে। চা খাওয়ার পর আশপাশের মানুষজনের সাথে অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর বেনারস তো স্বয়ং তাঁর নিজেরই লোকসভা কেন্দ্র।
দেশের প্রধানমন্ত্রী একসময় নিজেই জানিয়েছিলেন, ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে চা বিক্রী করতেন। এদিন মহল্লার চায়ের দোকানগুলোর হালহকিকতের খবরাখবর নেন নরেন্দ্র মোদী।
মহমুরগঞ্জের চাওয়ালা কৈলাশ রায়ের মতে, এই ভোটের মরসুমে চায়ের বিক্রী বেড়েছে। আর চায়ের বিক্রী বেড়ে যাওয়া মানেই ‘কুলহাড়'(ভাঁড়)-এর চাহিদাও বাড়বে। কুলহাড় প্রস্তুককারী বাবু প্রজাপতি বলেন, “আগে আমি মাসে ৫,০০০ কুলহাড় বিক্রী করতাম। সেখানে শুধু গতমাসেই ১০,০০০ কুলহাড় বিক্রী করেছি।”
ভোটের সময় চায়ের দোকানগুলোয় তাড়াতাড়ি কুলহাড় যোগান দিতে কুলহাড় প্রস্তুতকারকরা মেশিনের ব্যবহারও করছেন বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, আজ বারণসীর ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে।