তিনি রূপা গাঙ্গুলী নামে যতটা নয়, ততবেশী পরিচিত দ্রৌপদী নামে। টেলিভিশনের বিখ্যাত মহাভারতের সৌজন্যে পর্দার দ্রৌপদী রূপে একজনকেই চিনেছে বাঙালি –তিনি অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলী। একইসঙ্গে তিনি বাংলার একজন রাজনীতিবিদ। হাঁসখালির নাবালিকা ধর্ষণ সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী সেই রূপার প্রতিক্রিয়া কী? বলতে গিয়ে আবেগরুদ্ধ কন্ঠস্বর দ্রৌপদীর।
রামপুরহাটের অগ্নিকান্ডের সময়েও রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যেই কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। আর হাঁসখালি প্রসঙ্গের পর এক সাক্ষাৎকারে রূপা গাঙ্গুলীর কন্ঠস্বর ভিজে উঠেছে। তিনি দুঃশাসনের সেই প্রকাশ্য সভাতেই ফিরে যান। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্য শ্যুট করার অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বলেন, “ওই আটদিন আমি একটা কষ্টের মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছিলাম। প্রকাশ্য সভায় সকলে দেখছে, হাসছে আর আমায় বিবস্ত্র করা হচ্ছে!
একজন নারীকে যদি এইভাবে জনসমক্ষে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করা হয় তাহলে তাঁর মনের মধ্যে কী হয় সেটা আমি অনুভব করেছি। অনেকেই হয়তো বলবেন অভিনয়টা খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু ওটা শুধু অভিনয় ছিলনা, ওইসময়ে রোজ হোটেলে ফিরে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতাম।”
রূপা গাঙ্গুলী নিরুদ্ধ কান্না সামলে বলেন, “আজ তাই মনে করতে হবে এমন ধরনের ঘটনার পরেও বাংলার যেসমস্ত নারীরা বেঁচে আছেন তাঁরা কীভাবে আছেন? অর্ধেককে তো পুড়িয়ে মেরে দেওয়া হয়। আর বাকীরা?” রূপার বিস্মিত প্রশ্ন, “বাংলার মানুষ এগুলো সহ্য করছেন কীকরে?”
পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা ভারতের জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, “আপনার কন্যার মুখ চোখ বন্ধ করে ৩০ সেকেন্ড ভাবুন। দেখবেন আপনিও কতদিন ঘুমোতে পারবেননা। অন্যদের জীবনে যখন সেইরকম ঘটনা ঘটছে তখন এত নিস্পৃহ থাকছেন কীকরে?”