রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান শুরু থেকেই নিরপেক্ষ শান্তির পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দুপক্ষই যেন যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে। এরপর যুদ্ধের তীব্রতা যত বেড়েছে, আগ্রাসী আক্রমণে ক্রমাগত বিধ্বস্ত হওয়ার দিকে এগিয়েছে ইউক্রেন, একটা প্রশ্ন বিশ্ববাসীর মনেও খচখচ করে বিঁধছে এমনকি স্বদেশের মানুষেরও জানার আগ্রহ–রাশিয়া না ইউক্রেন, ভারতের সমর্থন আসলে ঠিক কোনদিকে?
একটি রাষ্ট্র তথা দেশীয় রাজনীতি কখনোই সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ হতে পারেনা। কূটনৈতিক কারণে স্পষ্ট করে না বললেও সমর্থন এক পক্ষের দিকে রয়েছে, এবং সেটি রয়েছে অবশ্যই রাশিয়ার প্রতি। সেই মতামতই আজ প্রকাশ্য সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন ভারতীয় এয়ার ফোর্সের প্রাক্তন চিফ মার্শাল অরূপ রাহা।
এক টেলি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “ভারতের যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। শুধু তাই নয়, বরাবরই ভারতের বন্ধুদেশ হিসেবে পাশে থেকেছে রাশিয়া। এমনকি ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধেও ভারত রাশিয়ার সাহায্য পেয়েছে। রাশিয়া না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতেই পারতনা। সুতরাং ভারতের পক্ষে কোনও অবস্থাতেই রাশিয়ার সাথে বিরোধে জড়ানো সম্ভব নয়।”
প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান অরূপ রাহা আরো একধাপ এগিয়ে উল্টে ইউক্রেনের অবস্থানকেই নেতিবাচক বলেছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “রাশিয়া পশ্চিমি সংস্কৃতির ও রাষ্ট্রনীতির বিপরীতে অবস্থান করে। সেই দেশের অংশ হওয়া সত্ত্বেও ইউক্রেন ন্যাটোর সাথে মিলিত হবে এটা রাশিয়া সহ্য করবে কেন?”
তাঁর মতে, ইউক্রেনের মানুষের ভাষা থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এমনকি অর্থনৈতিক পরিচালন পদ্ধতি সবটাই রাশিয়ার সঙ্গে মেলে। তাসত্ত্বেও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর দেশকে আমেরিকা তথা পশ্চিমি দেশগুলির সাথে মেলাতে চাইছেন, এটা মেনে নেওয়া রাশিয়ার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়। তাই এই বেপরোয়া যুদ্ধ পরোয়ানা!