মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসম্পাদক কুনাল ঘোষ দাবি করলেন দলছুট সমস্ত নেতাকর্মীই তৃণমূলে ফেরত আসতে চান। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর নামটা বেশ জোরের সাথেই উচ্চারণ করেন তিনি। কিন্তু ফিরতে চাইলে শুভেন্দু অধিকারীর পরিণতি কী হবে সেটাও জানাতে ভোলেননি কুনাল। এই বক্তব্য ঘিরে সম্প্রতি রাজ্যের রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল চলছে।
সল্টলেকে অনুষ্ঠিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে কুনাল ঘোষ বলেন, “যারা তৃণমূল থেকে গেছে, তারা বলছে আমাদের নাও। শুভেন্দু ফিরতে চাইছে। ওর সঙ্গে যে দুএকজন গিয়েছিল তারাও চাইছে ফিরতে।”
তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ একেবারে বিজেপি নেতাদের মতো অভিনয়ের নকল করে “আমাদের নাও, আমাদের নাও” শব্দগুলি উল্লেখ করেন, যাতে বিজেপি থেকে ফিরতে চাওয়া নেতাদের বায়নাক্কার মনোভঙ্গীই ভালোরকম ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি কুনাল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, “শুভেন্দু ফিরতে চাইছে কিন্তু ফেরানো হবেনা।”
বক্তব্যটির সূত্র আসলে ছিল সব্যসাচী দত্তকে শুভেন্দুর আক্রমণ। বিধাননগর এলাকার প্রচারসভায় শুভেন্দু বলেন, “প্রার্থী নির্বাচনে ভুল হয়েছিল বিজেপির। বিজেপি জিতবে মনে করেই দলে যোগ দিয়েছিলেন সেই প্রার্থী। রাজনীতি যাদের পেশা, ব্যবসা,শাসকদলের সাথে না থাকলে, কাটমানি না পেলে তারা বিরোধী দলের রাজনীতি করতে পারেনা।”
নাম না করেই এটা যে সব্যসাচীকে আক্রমণ এবং তৃণমূলকে ‘তোলামূল’ আখ্যা দিয়ে হেরে যাবার যন্ত্রণা আড়াল করছেন শুভেন্দু, তারই জবাব এদিন দিয়েছেন কুনাল ঘোষ। তিনি বলেন, “যাদের কোনও জনভিত্তি নেই, মানুষের সমর্থন নেই, অবসাদ থেকেই এগুলো বলছে তারা। সব্যসাচীকে ঈর্ষা করছে। আর শুভেন্দু তো ফিরতে চাইছে। তাই অবসাদ থেকে এসব বলছে। এসব কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও অর্থ নেই।”
শুভেন্দুর দলফেরতের বারংবার উল্লেখের পেছনে সত্যিই কি কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সত্যিই কি পুরোনো দলে ফিরতে চান শুভেন্দু অধিকারী? সেটাই এখন প্রশ্ন।