ইতিমধ্যেই কোভিডের নতুন ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভারতের ৭ টি রাজ্যে। বিশেষজ্ঞরা নতুন এই স্ট্রেনটিকে হাইব্রিড কোভিড বা ডেল্টাক্রন বলে উল্লেখ করছেন।
নতুন হানা দেওয়া এই করোনা ভাইরাসটি ওমিক্রন, ওমিক্রন বি.এ-২ অথবা ডেল্টার সংমিশ্রণ বলে মনে করছেন। তবে এইমূহুর্তে আশঙ্কা ঠিক কতখানি? এই প্রশ্নের উত্তরে খানিকটা আশ্বস্ত করলেন AIIMS ও সফদরজঙ্গ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
Livemint-এর সূত্র অনুযায়ী AIIMS এর সাথে যুক্ত এপিডেমিওলজিস্ট ডক্টর সঞ্জয় রাই জানিয়েছেন, ‘এরমধ্যেই প্রায় হাজার খানেকবার মিউটেশন ঘটিয়ে ফেলেছে। তার মধ্যে কেবলমাত্র ৫টি নিয়েই ভয়ের কারণ। তবে একইসঙ্গে ভারতের প্রচুর সংখ্যক মানুষের টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। সুতরাং ৪র্থ ঢেউয়ের সম্ভাবনা খুবই কম।’
প্রায় একইরকম মতপ্রকাশ করেছেন সফদরজঙ্গ হাসপাতালের চিকিৎসক ডক্টর যুগল কিশোর। তিনি বলেছেন, “৮০-৯০ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এমনকি তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ছাড় দেওয়ার কথা চিন্তা করা যেতে পারে।” এতটাই আত্মবিশ্বাসী ডক্টর যুগল কিশোর।
সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর চন্দ্রকান্ত লহরিয়ার মতে, “কোভিড আমাদের সঙ্গী হয়েই থাকবে। নতুন কোভিডের সংক্রমণও কতটা মারাত্মক হবে তাতেও সন্দেহ আছে। কেননা দেশের বৃহত্তর অংশের মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইতিমধ্যেই তৈরি।”
তাহলে হাইব্রিড কোভিড ঠিক কতখানি আশঙ্কার কারণ হতে পারে? উক্ত চিকিৎসকদের মতে এখনই আতঙ্কিত হবার কিছু নেই। এই নতুন স্ট্রেন এখনও মারাত্মক চেহারা নেয়নি বলেই আশ্বস্ত করছেন তাঁরা। বরং পরিস্থিতি অনুযায়ী পর্যবেক্ষণের ওপরেই তাঁরা নির্ভর করছেন।