নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বাঙালির তথা সমস্ত দেশপ্রেমীর মনে পূজনীয় স্থান নিয়েই রয়েছেন। অমৃত এই নেতাকে নিয়ে রহস্যের শেষ নেই! মৌলমারীর সাধু হোক বা বেতারে ভেসে আসা কন্ঠস্বর ‘আমি সুভাষ বলছি’.. চিরতরে বাঙালির মনে বাঁচিয়ে রেখেছে তাঁকে। কেউ কেউ তো রীতিমতো বিশ্বাস পোষণ করেন ‘নেতাজি আবার ফিরে আসবেন!’ তাই বলে মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করে নিয়মিত তাঁর পূজো!
অবিশ্বাস্য মনে হলেও ঘটনাটা সত্যি। ভোলানাথ, লক্ষী-নারায়ণ, হনুমানের সাথেই মূর্তি রূপে মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত নেতাজির প্রতিমূর্তি। নিয়মিত তিনি পুরোহিতের দ্বারা পূজিত হয়ে আসছেন।
জলপাইগুড়ির মাসকলাইবাড়ি অঞ্চলের এক শ্মশানের পাশে রয়েছে এই মন্দির। যেখানে পাঁচমুখী হনুমান, ভোলা মহেশ্বর, লক্ষী নারায়ণের পাশেই দেয়ালে প্রতিষ্ঠিত নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিমূর্তি। কিন্তু কে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা?
মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত জানিয়েছেন মাসকলাইবাড়ি শ্মশানের পার্শ্ববর্তী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন করপোত্রি নামধারী এক সাধু। তিনিই এই হনুমান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। একইসঙ্গে নেতাজির একটি মূর্তিও এখানে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। অন্যান্য দেবদেবীর সাথে প্রতিদিন নেতাজিরও পূজো করতেন। সেই ধারাই আজও বহমান।
অন্যান্য বারের মতো এবারও সুভাষচন্দ্রের জন্মতিথিতে স্পেশাল ভোগ পায়েস ও অন্নভোগ দিয়েছেন মন্দিরের পুরোহিত। এই পূজো-উৎসবে অংশগ্রহণকারী এক স্থানীয় ব্যক্তি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তিনিও জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে এই মন্দিরে নেতাজির পূজো দেখে আসছেন।
আজ ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে এই মন্দিরে পূজিত হয়ে আসছেন বাঙালির বীর বিপ্লবী নেতা সুভাষচন্দ্র বসু। যাঁকে নিয়ে অসংখ্য কিংবদন্তি গাথা প্রচলিত। তবে এমন দৃষ্টান্ত সত্যিই বিরল।