এই ঘটনা প্রথমত অসম্ভব, অবিশ্বাস্য বলে ভ্রম হবে। কিন্তু রাজস্থানের অধিবাসী সুরেশ ভিচার খানিকটা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতেই ৩৫০ কিলোমিটার পথ দৌড়ে এসেছেন! সুরেশের এই দৌড়ের ভিডিও এখন নেটমাধ্যমে ভাইরাল। তরুন সেনাবাহিনীর চাকুরপ্রার্থীদের চর্চায় ঘুরছে তাঁর নাম।
দিল্লীর যন্তর-মন্তরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রার্থী তরুণরা। নিয়োগে দেরির কারণেই চলছে তাঁদের বিক্ষোভ। ঠিক সেইসময়ই বিক্ষোভ দেখানো শুধু নয়, নিজের দক্ষতার প্রমাণ দিতে রীতিমতো মরিয়া সুরেশ ভিচার এক বেনজির দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন।
যন্তরমন্তরের এই বিক্ষোভ সমাবেশই গন্তব্য ছিল সুরেশের। রাজস্থান থেকে দিল্লী যেভাবে পৌঁছলেন সুরেশ, তাতে গোটা দিল্লী জুড়ে রইরই কান্ড! সূদুর রাজস্থানের সিকার থেকে দিল্লীর যন্তরমন্তরে পৌঁছলেন ছুটতে ছুটতে। সময় লেগেছে ৫০ ঘন্টা। বিক্ষোভ সমাবেশে পৌঁছবার পর তিনি হয়ে উঠেছেন তরুণ সেনাদের আইকন।
কিন্তু বিক্ষোভটা ঠিক কী কারণে? আর এমন ‘পদক্ষেপ’ তিনি নিলেন কেন? উত্তরে সুরেশ ভিচার জানিয়েছেন, “আমার বয়স ২৪ বছর। রাজস্থানের নাগাউর জেলায় বাড়ি। আমি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করার স্বপ্ন দেখি।কিন্তু গত দুবছর ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে নাগাউর, সিকার অঞ্চলের যুবকদের। যুবকদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে তাই আমি দৌড়েই দিল্লী এসেছি।”
হতবাক কান্ড! একইসঙ্গে শিক্ষণীয় অবশ্যই। তাঁর মতো অন্যান্য চাকরিপ্রার্থী তরুণদের মনোবল বজায় রাখতেই ছুটে ৩৫০ কিলোমিটার রাস্তা দুইদিনে ছুটে এসেছেন তিনি! সুরেশের বয়ানে আরো জানা যায়, ভোর চারটে নাগাদ ছোটা শুরু হত, সকাল এগারোটায় প্রথম ব্রেক নিতেন সেই এলাকার স্থানীয় পেট্রোল পাম্পে। অল্পকিছু খাওয়া আর খানিক বিশ্রামের পর আবার ছোটা শুরু।
এভাবেই দিল্লীর যন্তরমন্তর পৌঁছেছেন সুরেশ। যন্তরমন্তর তখন এই যুবকের জাদুকরী ভূমিকায় মুগ্ধচোখে তাকিয়ে।ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সুরেশের চাকরি, সুরেশের দাবি অনুযায়ী তাঁর মতো অন্য তরুণদের চাকরি অবিলম্বে হওয়াই উচিত, মনে করছেন নেটিজেনরা।