সাম্প্রতিক ভোটের ফলাফলে উত্তরপ্রদেশে নিরঙ্কুশ বিজয়গর্ব দিয়ে চমক দেখাচ্ছে বিজেপি। পক্ষান্তরে এই জয় যে আগামী লোকসভা ভোটেরই আগাম প্রতিচ্ছবি সেটাও ফলাও করে প্রচার শুরু করে দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। এই প্রচারে বাধ সাধলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ৪টিতেই ব্যাপকভাবে জিতেছে বিজেপি। এর মধ্যে দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্য উত্তরপ্রদেশ রেকর্ড তৈরী করে ফেলেছে,কেননা হ্যাট্রিক করেছেন আদিত্যনাথ যোগী। উত্তরপ্রদেশের অতীত ইতিহাসে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে এর আগে বসেননি কেউ।
উত্তরপ্রদেশের এই দৃষ্টান্ত সামনে রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর কিছু বিশেষজ্ঞ মত প্রকাশ করেছিলেন এই ফলাফল তো ২০১৭-তেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল! আশা করি এবারো তাঁরা সেই কথাই বলবেন — ২০২৪ -এর ফলাফল ২০২২-এই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।
২০২২-এ উত্তরপ্রদেশের ফলাফলটাকেই ২০২৪-র লোকসভা ভোটের প্রতিচ্ছবি বলে দলীয় সভা ও জনসাধারণের মধ্যে প্রচার করছেন নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি দল। ঠিক এই জায়গাতে বাধা দিয়েই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বললেন, “দেশের জন্য যে লড়াই তা ২০২৪এ-ই হবে। একটি রাজ্যের নির্বাচনে সেটা স্পষ্ট হবেনা। সাহেব (প্রধানমন্ত্রী) এটা ভালো করেই জানেন। আসলে রাজ্যগুলোর বিধাসভা ভোটের ফলাফল দেখিয়ে বিরোধীদের ওপর চালাকি করে মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির কৌশল নিয়েছেন তিনি। এই ভুল তত্ত্বে বিভ্রান্ত হবেননা।”
বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি যে আলাদা সেই বক্তব্যের ঝলক উঠে এসেছে ভোটকুশলীর কথায়। গুজরাতের ভোটের প্রভাব যে সব রাজ্যে প্রতিফলিত হয়নি খোদ পশ্চিমবঙ্গই তার প্রমাণ। আর এবারে সেই উদাহরণ দেখালো পাঞ্জাব। সেই সূত্র ধরেই কি লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপির বানানো ফাঁপা বেলুনে ছুঁচ ফোটালেন প্রশান্ত কিশোর? সেটাই প্রশ্ন।