কোভিড পরিস্থিতি , বাংলার সাথে ‘ট্যাবলো’ নিয়ে বিতর্ক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা এসব সত্ত্বেও প্রজাতন্ত্র দিবস রয়েছেই তার স্বমহীমায়। আর এই দিনটিকে যথাবিধি পালন করার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় প্রশাসন। এবারের এই বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠানসূচিতে যেমন কিছু কাটছাঁট করা হয়েছে, তেমনই রয়েছে আকর্ষণীয় সংযোজন।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই প্রথমে দর্শকদের শারীরিক উপস্থিতির সংখ্যা কমানো হয়েছে। সর্বাধিক ৫ থেকে ৮ হাজার মানুষ এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশ নিতে পারবেন, এমনটাই জানিয়েছেন এক প্রশাসন আধিকারিক। এবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে তিনি বলেন, “তৃতীয় ওয়েভের এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে আমরা এই প্যারেডকে সুপার স্প্রেডার ইভেন্টে পরিণত করতে চাইনা। সেকারণেই লোকসংখ্যা কমানোর কথা ভাবা হয়েছে।”
সাধারণ সময়ে যেখানে ২৫ হাজারেরও বেশি জনসমাগম হয়, সেই সংখ্যা কমিয়ে আনাটা মুশ্কিল ছিল, তবে এটা করতেই হচ্ছে। জানান তিনি। প্রথমে নিরাপত্তার কথা ভেবে আকাশে ড্রোন উড়বে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও, কড়া নজরদারি রেখে ড্রোন ওড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এবারের এই ড্রোন প্রদর্শনীই প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল আকর্ষণ হতে চলেছে। ১০০০টি ড্রোন ওড়ানো হবে ২৬ জানুয়ারির আকাশে। আর তাতেই ফুটে উঠবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প উদ্যোগ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র প্রতীকী।
এছাড়াও থাকবে ৭৫টি জেট বিমান। কুচকাওয়াজে ফুটে উঠতে চলেছে ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের টাঙ্গাইল ড্রপের ঘটনার স্মৃতি। সিপিডব্লিউডির উদ্যোগে লাগানো হবে ১০টি এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বেশকিছু স্ক্রলের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে দেশের হ্যান্ডিক্র্যাফট — পটচিত্র, তালপাতায় নির্মিত ছবি, মধুবনী আর্ট প্রভৃতি। এই বিশেষ কারুশিল্প নির্মাণে ইতিমধ্যেই নিয়োজিত উড়িষ্যার প্রায় ৫০০ জন শিল্পী।
এখন শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতিপর্ব চলছে।