চিকিৎসায় অবহেলা, তার বিরুদ্ধে রোগীর বাড়ির লোকজনের বিক্ষোভ, এমন ঘটনা যেন আজকাল গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে একটি নামী নার্সিংহোমে চিকিৎসায় অবহেলা! সচরাচর যা ঘটেনা, সেটাই ঘটল হাওড়ার ডোমজুড়ে।
ডোমজুড়ের এক নামী নার্সিংহোমে উঠল চিকিৎসায় অবহেলার তীব্র অভিযোগ। প্রতিবাদে চলল তুমুল ভাঙচুর। এই ভাঙচুরে অভিযুক্ত ৩ জন ব্যক্তিকে ঘটনায় প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদেরই মধ্যে একজন রোগীর ভাই তাহাজুদ্দিন লস্কর। তিনি অভিযোগে জানান, বিনা চিকিৎসায় ঘন্টার পর ঘন্টা তাঁর দাদাকে ফেলে রাখা হয়। বাদ প্রতিবাদ শেষপর্যন্ত চরমে ওঠে। এরপরেই কি ভাঙচুর?
রোগী ৪০ বছর বয়স্ক আব্বাসউদ্দিন লস্কর। তাঁর রক্তবমি হয়েছিল। চিন্তিত বাড়ির লোকজন সত্বর তাঁকে আইরিস নার্সিংহোমে নিয়ে আসেন।
গত শনিবার দুপুরবেলায় নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয় রোগীকে। কিন্তু রোগীর আত্মীয়দের দাবি, সময়মতো ভর্তি করা সত্ত্বেও দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি কার্যত বিনা চিকিৎসায় রোগীকে ফেলে রাখা হয়। স্বাভাবিকভাবেই নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও মেডিকেল কর্মীদের সাথে বচসা শুরু হয়। তারপরেই শুরু হয় ভাঙচুর। প্রবেশপথের কাচের দরজা সম্পূর্ণ চুরমার হয়ে ভেঙে পড়েছিল। অবশেষ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রোগীর আত্মীয়রা ঝগড়া বিবাদ করলেও , নার্সিংহোমে ভাঙচুর করেননি বলেই জানিয়েছেন। তবে পুলিশ যে ৩ জন ব্যক্তিকে ভাঙচুর করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে, পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী এরা সকলেই রোগীর আত্মীয়।
নার্সিংহোম থেকে স্থানান্তরিত করে সেই রাতেই রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়।কিন্তু একটি নামী নার্সিংহোমের চিকিৎসায় কেন এই অবহেলা? সে প্রশ্নের কোনোরকম উত্তর দেয়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।